কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগের পরও ৩৫০ কোটি টাকা পরিশোধের সুপারিশ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম তিন মাসে সুরক্ষা সামগ্রী, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনায় অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও ঠিকাদারদের পাওনা ৩৫০ কোটি টাকা পরিশোধের সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি এটি দ্রুত পরিশোধের সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, করোনার শুরুতে জরুরি ভিত্তিতে কেনাকাটা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদারদের সেই টাকা পরিশোধ হয়নি। এখন বলছে, ওই সময় নিয়ম না মেনে কেনাকাটা হয়েছে। কিন্তু যারা সরবরাহকারী তারা মালপত্র দিয়েছে। তাদের-তো দোষ নেই। আমরা বলেছি আমলাতান্ত্রিকতা না করে টাকা দিয়ে দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় এখানে আপত্তি দিচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম তিন মাসে (২০২০ সালের মার্চ-মে) সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) ৩৫৪ কোটি টাকার সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হয়। সে সময় ৫৭ প্যাকেজে এসব সুরক্ষা, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসাসামগ্রী কেনা হয়।
এর মধ্যে ৩৪৩ কোটি টাকা প্রায় এক বছর পর গত বছরের ১২ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় সিএমএসডিকে সরবরাহকারীদের দেওয়ার জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সঠিক কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় সিএমএসডি সেই অর্থ সরবরাহকারীদের দিতে পারছে না।
সিএমএসডির সাবেক পরিচালক প্রয়াত মোহম্মদ শহীদুল্লাহর সময় হওয়ায় এসব কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ এনে সে সময়ের সব ধরনের সরবরাহের বিল আটকে দেন পরের পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান। তার মূল অভিযোগ, এসব কেনাকাটায় বিধিবিধান ঠিক মতো অনুসরণ করা হয়নি।
এইচএস/এমএইচআর/এএসএম