ঈদে ২০০ নতুন মডেল, ওয়াকারের জুতা কিনছে ইউরোপ-আমেরিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২২

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড ওয়াকার। সারাদেশে ৮৫টি ব্র্যান্ডশপের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে জুতা পৌঁছে দিচ্ছে ক্রেতাদের দোরগোড়ায়। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও পদার্পণ করছে ফুটওয়্যার ব্র্যান্ডটি। বিখ্যাত ব্র্যান্ড এইচএনএম, আলদি জুতা কিনছে ওয়াকার থেকে। শিগগির ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে ব্যবসা আরও বিস্তৃত করার প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠানটির।

প্রতি ঈদে নতুন সব জুতার মডেল নিয়ে হাজির হয় ওয়াকার। এবারের ঈদেও ওয়াকারের শোরুমে রয়েছে চোখ ধাঁধানো সব জুতা। বিভিন্ন ডিজাইনের ক্যাজুয়াল শু, স্পোর্টস শু, কিডস শু-তে রয়েছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়।

jagonews24

ওয়াকার ক্রেতাদের পকেট ও পায়ের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে জুতা ডিজাইন করে উল্লেখ করে ব্র্যান্ডটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, জুতা এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে ক্রেতার পায়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়। মানুষ হেলমেট পরে দুর্ঘটনা থেকে মাথাকে বাঁচাতে, তেমনি জুতা পায়ের জন্য একটা সেফটি নেট হিসেবে কাজ করে। আমরা ফুট এনাটমি মেইটেইন করি, যাতে ক্রেতার পায়ের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন, জুতায় পায়ের মাপ ও স্ট্রাকচারাল ডিজাইন নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমাদের ২৫ জনের বেশি ফুটওয়্যার ডিজাইনার জুতা সঠিক মাপে আছে কি না তা পরীক্ষা করেন। জুতাটা আরামদায়ক কি না তা নিশ্চিত করেন। এভাবে আমরা পায়ে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে জুতা আরামদায়ক করি।

jagonews24

আন্তর্জাতিক বাজারের জ্বালানি, কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতিতে দেশে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই ক্রেতার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে এবার সাশ্রয়ী মূল্যে জুতা দিচ্ছে ওয়াকার। কামরুল হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখন প্রায় সব কিছুর দামই বেশি। তবে এবার আমরা সাশ্রয়ী ও বাজেট ফ্রেন্ডলি করে জুতার মূল্য নির্ধারণ করেছি। যাতে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে জুতা কিনতে পারেন, কেউ যেন জুতা না কিনে ফিরে না যান। এছাড়া জুতা কিনলে ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পারের ব্যবস্থা করেছি। একই সঙ্গে আমাদের ওয়াকার ফুটওয়্যারের ওয়েবসাইট থেকে জুতা কিনলেও বিভিন্ন ধরনের ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

এবারের ঈদ উপলক্ষে নতুন দুইশ ডিজাইনের জুতা বাজারে এনেছে ওয়াকার। এছাড়া হাজারের বেশি ডিজাইনের জুতা আছে প্রতিষ্ঠানটির। ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্র্যান্ডটি সাড়াও পেয়েছে বেশ। কামরুল হাসান বলেন, ঈদে জুতার ভালো চাহিদা থাকে। ঈদ মানেই পরিবারকে নিয়ে কেনাকাটা। জুতাকে আমরা বলছি ফ্যামিলি প্রোডাক্ট। ছোট-বড় সবার জন্যই ওয়াকারের আয়োজন আছে। আরামদায়ক ও অত্যন্ত সাশ্রীয়মূল্য অফার করায় এবার আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি।

jagonews24

২০১৭ সালে ওয়াকার ফুটওয়্যারের যাত্রা শুরু। বর্তমানে তাদের ৮৫টি শোরুম আছে, আরও ৫০টি করা হচ্ছে। দেশের বাইরে রপ্তানির বাজারে প্রবেশ করেছে ওয়াকার। এ প্রসঙ্গে কামরুল হাসান বলেন, প্রাণ-আরএফএল যেহেতু কর্মসংস্থান নিয়ে অনেক কাজ করে, তারই ধারাবাহিকতায় পাদুকার শ্রমঘন শিল্পে ওয়াকার তার কর্মকাণ্ড শুরু করে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় আমাদের শোরুম আছে। শোরুমের সংখ্যা ৮৫টি। স্থানীয় বাজারে আমরা যেভাবে বিস্তৃত হয়েছি, তেমনি আমরা রপ্তানির বাজারেও ঢুকেছি। অনেক ইউরোপিয়ান ক্রেতা আমাদের কাছ থেকে জুতা কিনছেন। এইচএনএম এখন আমাদের ক্রেতা। এছাড়া আলদি, লিডল আমাদের থেকে জুতা নিচ্ছে। আরও অনেক বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ড আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাইছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ওয়াকারকে ছড়িয়ে দিতে চাই।

এসএম/কেএসআর/এএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।