লোকসান পিছু ছাড়ছে না জনতার ৩৪ শাখাকে
লোকসান যেন পিছু ছাড়ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ৩৪টি শাখাকে। সব আর্থিক সূচকে ব্যাংকটি ভালো করলেও লোকসানি শাখার ক্ষেত্রে চিত্র যেন ভিন্ন।
জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জাগোনিউজকে বলেন, আমরা লোকসানি শাখার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি; যাতে এটি আরো কমিয়ে আনা যায়।
অবশ্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকের আরেকজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হওয়ার কারণে জনতা ব্যাংকের অনেক শাখা রাজনৈতিক তদবিরের কারণে চালু করতে হয়েছে। যার কারনে এই অবস্থা।
সারা দেশে জনতা ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা ৯০৮টি। এর মধ্যে শহরে রয়েছে ৪৮৪টি। আর গ্রামীণ শাখা হচ্ছে ৪২৪টি।
লোকসানি শাখার মধ্যে ঢাকা উত্তর অঞ্চলে রয়েছে চারটি, দক্ষিণে দুইটি। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোনো লোকসানি শাখা নেই। রাজশাহী অঞ্চলে রয়েছে চারটি লোকসানি শাখা। এছাড়া সিলেটে একটি, খুলনাতে দুটি, বরিশালে চারটি, রংপুরে পাঁচটি শাখা দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলছে। সবচেয়ে বেশি ছয়টি শাখা লোকসানে চলছে ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এছাড়া কুমিল্লা ও ফরিদপুরে যথাক্রমে দুটি ও চারটি শাখা লোকসান দিয়ে চলছে।
২০১৪ সালে এই ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ছিল ৬০। গত দুই বছর এক্ষেত্রে অবশ্য বেশ উন্নতি করেছে ব্যাংকটি।
সব আর্থিক সূচকে ভালো কার জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখাগুলো ব্যাংকটির জন্য মাথার ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণে এ শাখাগুলোর কারণে ব্যাংকের সার্বিক সুমান নষ্ট হচ্ছে।
জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরও ব্যাংকের পরিচালনা মুনাফা ভালো হয়েছে। যদিও ব্যাংকের তৈরি করা এই আর্থিক সূচক মানতে নারাজ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম।
তিনি বলেন, ব্যাংকের তৈরি করা আর্থিক সূচকে অনেক সময় প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পায় না। ব্যাংকগুলো প্রদত্ত ঋণের সুদ হিসাব করে মুনাফা দেখাচ্ছে। কিন্তু বছর শেষে সেসব ঋণের অনেকটা খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। সুদও ঠিক মতো আদায় হচ্ছে না।
এসএ/এনএফ/পিআর