সিমেন্ট-খাদ্যে ভর করে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, পতনে বিমা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ৩০ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

শেয়ারবাজারে সোমবারের মত মঙ্গলবারও বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। তবে খাদ্য ও সিমেন্ট খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে আইটি খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। এতে বিমার শেয়ারে দরপতন হলেও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে।

দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে সবকটি খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে এক পর্যায়ে মূল্য সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

এ পরিস্থিতিতে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে সিমেন্ট, খাদ্য ও আইটি খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। ফলে ঋণাত্মক অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু শেষ ঘণ্টায় এসে হঠাৎ বিমার শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এতে দরপতন হয় বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির।

অবশ্য এর মধ্যেও খাদ্য, সিমেন্ট ও আইটি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে। এতে বিমা কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হলেও ঊর্ধ্বমুখী থাকে সবকটি মূল্যসূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ৮৬টির দাম কমেছে। আর ১৯৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্যদিকে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর খাদ্য খাতের ১২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৪টির। সিমেন্ট খাতের ৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। এ খাতে একটি প্রতিষ্ঠানেরও শেয়ার দাম কমেনি। আইটি খাতের ৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং একটির দাম কমেছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ৯৭৬ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৯৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৬ কোটি ৬৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৪৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ইউনিক হোটেল, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, জেমিনি সি ফুড, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৯টির এবং ১০৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

এমএএস/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।