এবার এইচএসসিতে অংশ নিতে পারেন ১২ লাখ শিক্ষার্থী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩
ফাইল ছবি

২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ পরীক্ষায় সারাদেশে ১২ লাখের মতো পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে শুধু ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার রেজিস্ট্রেশন করেছে ৩ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার এইচএসি-সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে সারাদেশে ১৪ লাখের বেশি ফরমপূরণ করলেও সেখানে নয়টি সাধারণ ও কারিগরি-মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠতে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ২০২২ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার লাখের বেশি একাদশে ভর্তি হলেও সেখানে ৩ লাখ ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থী রয়েছে। এভাবে প্রতিটি শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষার্থী ঝরে গেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর একাদশে যে পরিমাণে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তারা সবাই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে না। কিছু শিক্ষার্থী দেশের বাইরে চলে যায়, কিছু ইংরেজি মিডিয়ামে, বিভিন্ন কারণে কিছু পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে থাকে। এবার ১২ লাখের মতো পরীক্ষার্থী এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আগামী আগামী ১৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এইচএসসি-সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ও বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরবর্তী ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এইচএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে আন্ত:শিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড।

পরীক্ষার রুটিনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশের (এনসিটিবি) ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

প্রথম ধাপে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী বা এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ ও সৃজনশীলের জন্য ৭০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবহারিক বিষয় সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীলের ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ২৩ মিনিট থাকবে। প্রতিটি তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য ৩ ঘণ্টা করে সময় দেওয়া হবে।

বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে থেকে সংগ্রহ করবে। তত্ত্বীয় ও বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশের পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে পাশ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না বলেও এইচএসসি পরীক্ষার রুটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমএইচএম/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।