লড়ে যাচ্ছে আফগানরা
২০৯ রানের বিশাল পাহাড়ের নীচে পড়েও দারুণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ শাহজাদের ব্যাটিং ঝড়ে দুর্দান্ত সূচনা পেয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দলটি। এরপর দ্রুত চার উইকেট পড়ে গেলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অব্যাহত রেখেছে তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে আছেন শাহজাদ। সে ফর্মের ধারবাহিকতায় রোববারও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তিনি। মাত্র ১৯ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রান করে মরিসের বলে আউট হন এ ওপেনার। এরপর দ্রুত ফিরে যান আফগানদের অধিনায়ক আসগার স্টানিকজাই। দলীয় ৬০ রানের মাথায় আউট হন তিনি।
তব তৃতীয় উইকেট জুটিতে গুলবাদিন নাইব ও নুল আলী জাদরান ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। এরপর এ দুই ব্যাটসম্যান দ্রুত বিদায় নিলেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখেছেন মোহাম্মদ নবি ও সামিউল্লাহ সানওয়ারী।
এর আগে রোববার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৫ রানে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন শাপুর জাদরান। এরপর অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৫ রান দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান এ দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৯০ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস। তবে এর আগে ২৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রান করেন তিনি। ডি কক করেন ৪৫ রান। ৩১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
এর পর জেপি ডুমিনিকে নিয়ে ব্যাটিং ঝড় তুলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন এ ব্যাটিং দানব। মাত্র ২৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এ রান সংগ্রহ করেন তিনি। তার আগে ২৪ বলে পূরণ করেন হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলক। ডুমিনি ২০ বলে ২৯ রান করেন। এছাড়া শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মিলার করেন ৮ বলে ১৯ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে দৌলত জাদরান, মোহাম্মদ নবি, শাপুর জাদরান ও আমির হামজা ১টি উইকেট নেন।
আরটি/আইএইচএস/এবিএস