গবেষণা-উদ্ভাবনে জোর দিলে শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে

শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, বর্তমান যুগ টেকসই উন্নয়নের। এ উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এ দুটি বিষয়ের পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তিতে যত বেশি জোর দেওয়া যাবে, শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা তত সহজ হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৫.০’ শীর্ষক পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। উন্নত, আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির লক্ষ্যে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের অংশ হিসেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যায়টির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ এ আয়োজন করেছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, ভারত, ইরান, মালয়েশিয়া ও ডেনমার্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষক ও গবেষকরা অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন>> এআইইউবিতে জব ফেয়ার
সামসুল আরেফিন বলেন, সরকার তথ্য-প্রযুক্তি ও বহুমাত্রিক গবেষণার ওপর জোর দিয়েছে। এর মাধ্যমেই আগামীতে সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। সুতরাং একটি টেকসই সমাজ গঠনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনে নজর দিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, আগামীতে এর মাধ্যমেই জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাসটেইনেবল টেকনোলজির ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমাদেরও সেই পথে হাঁটতে হবে।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেনারেল চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম ওয়াজেদ কবির, সম্মেলন আয়োজক কমিটির প্রধান এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ।
এর আগে সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৯৩টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে, যা থেকে ১১৯টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মোট ২২টি প্রবন্ধ জমা পড়ে।
এএএইচ/ইএ/জেআইএম