‘বিলুপ্তির পথে ইবতেদায়ী মাদরাসা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা না থাকায় দেশের ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো বিলুপ্তির পথে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৪ হাজার ৩১২টি ইবতেদায়ী মাদরাসাকে সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন দিতে শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবকে নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এসব মাদরাসার শিক্ষকরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন পার করছেন। দ্রুত এ মাদরাসাগুলো জাতীয়করণের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরে এসব কথা জানান ইবতেদায়ী মাদারাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।

‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়ন, বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দেশে শিক্ষকদের ৫০০ টাকা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ী শিক্ষা শুরু হয়। এরপর হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও এ পর্যন্ত একটি ইবতেদায়ী মাদরাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ইবতেদায়ী ৪ হাজার ৩১২টি মাদরাসাকে স্কেল অনুযায়ী বেতন দিতে শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবকে এমপিও দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইবতেদায়ী মাদরাসাকে এমপিও দেওয়া হয়নি।

তারা বলেন, ৩৯ বছর ধরে বেতন-ভাতা না থাকায় শিক্ষকরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে পাঠদান চালিয়ে আসছেন। সরকারি সাহায্য না থাকার কারণে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে। অবিলম্বে রেজিস্ট্রশনভুক্ত সব ইবতেদায়ী মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. শহিদুল হক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে মকতব বাদ দিয়ে ফোরকানিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা নিয়ে এত বৈষম্য কেন, তা বোধগম্য নয়।

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ৭ দফা দাবি

শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি পরিচালনা, জনকাঠামো এবং বেতন ভাতা-অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ দ্রুত বাস্তবায়ন করা; বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে আগের রেজিস্ট্রেশন পাওয়া প্রতিষ্ঠানে কোড ও নবায়ন চালু করা; ডাটাবেজ করা ইবতেদায়ী মাদরাসার তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হাফেজ আহমাদ আলী এবং সঞ্চালনা করে রেজাউল হক। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা উন্নয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. এ কে এম মাহবুবর রহমান, ড. আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।

এএএইচ/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।