পড়ার আগ্রহ থেকে একরামুলের সংগ্রহে এখন ১২০০ বই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্কুল জীবন থেকেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তার। নিয়মিত বই কিনতেন, বা কারো কাছ থেকে করতেন সংগ্রহ। চাকরি জীবনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়তেন বই। শুধু তাই নয়, সহকর্মীদের বই দিয়ে পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতেন। আর এভাবেই বইপ্রেমিক হয়ে ওঠেন সৈয়দ একরামুল হক। এখন নিজ বাসায় গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি, তার সংগ্রহে রয়েছে প্রায় এক হাজার ২০০ বেশি বই।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় সৈয়দ একরামুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বই পড়তে পড়তে কখন যে বইকে ভালোবেসে ফেলেছি তা বলতে পারবো না। একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকে চাকরি করতাম। সময় পেলেই বই পড়তাম, বই কিনতাম অন্যদের উপহারও দিয়েছি। এক সময় সহকর্মী ও পরিচিতদের মাঝে বই বিতরণ করেছি, কারো কাছ থেকে বই সংগ্রহ করেছি। এখন চাকরি জীবন থেকে অবসরে আছি। এখনো বই বিতরণ করি, তবে সেটা নাতি-নাতনিদের মাঝে। তারাও পড়ে আমার সঙ্গে, আবার আমাকে উপহারও দেয়। আমার দুই ছেলে-মেয়েরও বই পড়ার নেশা জন্মেছে। তারাও বই পড়ে।

অমর একুশে বইমেলার বিষয়ে এ পাঠক বলেন, বইমেলা আসা মানে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। নতুন নতুন বই আসে, সেগুলো সংগ্রহ করি, পড়ি খুবই ভালো লাগে। আমার ছেলে-মেয়ে এমনও দিন আছে একদিনে একটা বই পড়ে শেষ করেছে। পরিবারের সবার বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকায় বাসায় এখন লাইব্রেরি গড়েছি। আমার ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে প্রায় এক হাজার ২০০ এর বেশি বই সংগ্রহে আছে।

কোন বই বেশি পড়তে ভালো লাগে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেশের লেখকদের বই বেশি পড়ি। আবার ওপার বাংলার অনেক বই পড়েছি। তাদের বইও সংগ্রহে আছে আমার। হুমায়ূন আহমেদের ২৫২টি বই রয়েছে আমার সংগ্রহে। জাফর ইকবালের রয়েছে ১৫১টি বই। এছাড়া আনিসুল হকের বইসহ বিভিন্ন লেখকের বই রয়েছে আমার লাইব্রেরিতে। আজও জাফর ইকবালের দুটি বই কিনেছি। আরও কিছুটা সময় মেলায় থাকবো, ঘুরে দেখবো এবং বই কিনবো।

এদিকে বইমেলার ২২তম দিনে বিকেল ৩টায় মেলার গেইটগুলো উন্মুক্ত করা হয়। তবে দিনের শুরু থেকেই মেঘলা আকাশ থাকায় অন্য দিনের তুলনায় দর্শনার্থী ছিল কম।

ইএআর/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।