তিনি নেই, আজও বাজে তার মিষ্টি মধুর গান

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫২ এএম, ০৭ মে ২০২৫
সুবীর নন্দী

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৭ মে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সেই কবেই শিল্পী চলে গেছেন আর না ফেরার দেশে। তার গান রয়ে গেছে এ বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণে-প্রাণে। ‘আমার এ দুটি চোখ’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘চাঁদের কলঙ্ক আছে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘হাজার মনের কাছে’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, পাহাড়ের কান্নাসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান তিনি রেখে গেছেন শ্রোতাদের জন্য। প্রেমে-বেদনায় তার গান ফিরে ফিরে বাজে মানুষের মুখে।

১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় নন্দীপাড়া নামক মহল্লা এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা গানের কিংবদন্তি এই গায়ক। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে। তবে সংগীতে তার হাতেখড়ি মায়ের কাছেই।

সুবীর নন্দী গানের জগতে আসেন ১৯৭০ সালে ঢাকা রেডিওতে প্রথম রেকর্ডিং এর মধ্য দিয়ে। প্রথম গান ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’। গানটির গীত রচনা করেন মোহাম্মদ মুজাক্কের এবং সুরারোপ করেন ওস্তাদ মীর কাসেম।

৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সুবীর নন্দী গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ দিয়ে প্রথম চলচ্চিত্রে গান করেন তিনি।

১৯৮১ সালে তার একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে।

তিনি গানের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরিও করেছেন।

চলচ্চিত্রের সংগীতে তার অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

এলআইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।