‘জেমস বন্ড’ খ্যাত নির্মাতা লি তামাহরি মারা গেছেন

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
লি তামাহরি। ছবি: সংগৃহীত

চলে গেলেন ‘জেমস বন্ড’খ্যাত নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা লি তামাহরি। বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

তামাহরির পরিবার রেডিও নিউজিল্যান্ডকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন এই বরেণ্য নির্মাতা। এক বিবৃতিতে পরিবার জানিয়েছে, ‘কারিশম্যাটিক ও অসাধারণ সৃষ্টিশীল এই মানুষটি মাওরি শিল্পীদের পর্দায় এবং পর্দার বাইরেও সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। তাকে হারানো চলচ্চিত্রজগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’

১৯৫০ সালে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে জন্ম নেওয়া লি তামাহরি ছিলেন মাওরি ও ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। ৭০-এর দশকে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের চলচ্চিত্রশিল্পে কাজ শুরু করেন। শুরুতে জিওফ মারফির একাধিক সিনেমায় টেকনিশিয়ান হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এরপর নাগিসা ওশিমার আন্তর্জাতিক প্রযোজনা ‘মেরি ক্রিসমাস, মি. লরেন্স’-এ ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন।

নির্মাতা হিসেবে বড় পরিচিতি পান ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ান্স ওয়ার ওয়ারিয়র্স’ সিনেমার মাধ্যমে। অকল্যান্ডে টিকে থাকা এক মাওরি পরিবারের সংগ্রাম ও সহিংসতা নিয়ে নির্মিত সেই ছবিটি মুক্তির পর নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমায় পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসা পায়।

এর সফলতার পর হলিউডে কাজের সুযোগ পান তামাহরি। নিক নল্টে ও চাজ প্যালমিন্টেরি অভিনীত পিরিয়ড নোয়ার ঘরানার ‘মালহোল্যান্ড ফলস’ পরিচালনা করেন তিনি।

তবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত কাজ ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস বন্ড সিরিজের ছবি ‘ডাই অ্যানাদার ডে’। বক্স অফিসে ছবিটি ব্যাপক সাফল্য পায় এবং তামাহরিকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি।

আরও পড়ুন
টিজারেই ঝড় তুলেছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক 
হাসপাতালে ভর্তি জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা 

চলচ্চিত্রপ্রেমীরা বলছেন, লি তামাহরি ছিলেন এমন এক নির্মাতা, যিনি স্থানীয় সংস্কৃতি থেকে শুরু করে বিশ্ব সিনেমার মূলধারায় নিজের স্বাক্ষর রেখে গেছেন অনন্য এক শৈলীতে।

এমএমএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।