‘মুজিব আমার পিতা’ দেখবেন আজ বিশেষ অতিথিরা, মুক্তি ১ অক্টোবর

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রচনায় ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নির্মাণ করেছে দেশের প্রথম ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’। ছবিটির স্পেশাল স্ক্রিনিং হবে আজ বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।

যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাজে বিশেষ অতিথিরা ছবিটি দেখবেন আজ। এর পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত থাকবেন চলচ্চিত্রটির পৃষ্ঠপোষক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। থাকবেন মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম। উপস্থিত থাকবেন সিনেমাটির কলাকুশলীরাও।

বিএমআইটি সল্যুশনস লিমিটেড এবং প্রোলেন্সার স্টুডিও’র সহায়তায় নির্মিত সিনেমাটি ১৬ সেপ্টেম্বর সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে হয়েছে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আমার মনে হয় ওদের জানানোর জন্য অ্যানিমেশনের চেয়ে ভালো মাধ্যম আর হতে পারে না। একই ভাবে বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা সম্পর্কে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো আর কেউ বলতে পারবে না। এ দুইয়ের যুগলবন্দি করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।’

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি নির্মাণে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে। করা হয়েছে নিবিড় গবেষণা। তার সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন সিআরআইয়ের কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ। চিত্রনাট্য প্রস্তুতের পর প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয় গত বছরের জানুয়ারিতে। শতাধিক কলাকুশলীর শ্রমে নির্মিত হয়েছে ‘মুজিব আমার পিতা’।

তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘সিনেমাটির মাধ্যমে দেশে অ্যানিমেশনের নতুন মার্কেট তৈরি হচ্ছে। দেশিয় শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে পারলে বাংলাদেশেই বিশ্বমানের অ্যানিমেশন সিনেমা তৈরি করা সম্ভব।’

চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, ‘আমরা যখন কাজ শুরু করেছিলাম অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাংলাদেশে বসে ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস হারাইনি। এ সিনেমাটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, এখনই হয়তো বিশ্বমানের অ্যানিমেশন বানানো সম্ভব নয়। আমরা যাত্রাটা শুরু করেছি। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সেরা কাজ করার চেষ্টা করেছি।

চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা ওয়ার্কশপ করে অ্যানিমেটর তৈরি করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সামনে এরাই দেশের অ্যানিমেশন শিল্পের দৃশ্যপট বদলে দেবে। এবং সেই নতুন দিনের সূচনাটা হচ্ছে ‘মুজিব আমার পিতা’ বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার মধ্যে দিয়ে।’

চলচ্চিত্রটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে অ্যানিমেশন কো-অর্ডিনেটর ও ক্যারেক্টার ডিজাইনার রাফিউজ্জামান রিদম বলেন, ‘চলচ্চিত্রটির জন্য আমাদের প্রায় ৩০ হাজার ফ্রেম আঁকতে হয়েছে। প্রত্যাশামাফিক না হওয়ায় অনেক সিন দুবার-তিনবার করেও আঁকতে হয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনা ও ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চলচ্চিত্র বলে খুঁটিনাটি বিষয়ে অনেক বেশি মনোযোগ দিতে হয়েছে।

চিত্রনাট্যের জন্যই নয়, গবেষণা করতে হয়েছে চরিত্র ও লোকেশন আঁকার সময়ও। সব মিলিয়ে এমন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা আমাদের সামনের পথচলাকে অনেক সহজ করে দেবে।’

১ অক্টোবর থেকে চলচ্চিত্রটি সারাদেশের বিভিন্ন হলে সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। চূড়ান্ত হল তালিকা শিগগির জানানো হবে।

এলএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।