যে কারণে দেব বললেন, ‘চলচ্চিত্রের ৯০ শতাংশ অভিনেতাই গরু চোর’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১২ পিএম, ২৩ মে ২০২৪

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। কয়েকদিন পরেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন রাজ্যের যে সব কেন্দ্রে ভোট হবে এর মধ্যে ঘাটাল অন্যতম।

এ কেন্দ্রে তৃণমূলের দেবের সঙ্গে বিজেপির হিরণের তুমুল লড়াই হবে। প্রথম থেকেই ভোট নিয়ে দেব ও হিরণের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। কখনো হিরণ দেবকে কটাক্ষ করছেন। আবার দেব হিরণের প্রতি বিষোদগার করছেন।

হিরণ-দেবের সংঘাতে এবার প্রভাবক হয়ে ঢুকলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু পোস্ট করলেন বিষয়ের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে।

এ পোস্টে তিনি আপলোড করলেন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার নথি। পাশাপাশি গত ২৫.০১.২০১৭ তারিখের কিছু টাকা পয়সার লেনদেনের হিসেবও তুলে ধরা হয়েছে শুভেন্দুর এ পোস্টে।

শুভেন্দুর এ পোস্টের পাল্টা জবাব দিয়েছেন দেব। তিনিও পোস্ট করেছেন একটি শোয়ের পোস্টার। যেখানে অন্যান্য অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সঙ্গে রয়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ও নাম। দেব লিখেছেন, ‘ও শুভেন্দু দা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছো, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে। ভালোবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। আর রইলো কথা গরু চুরির টাকা, তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ সেও পিন্টু মন্ডলের থেকে টাকা নিয়েছেন, তাহলে উনি‘।

পুরো বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দেব জানিয়েছেন, ‘শুভেন্দুদার পোস্টটা দেখে কাকে ধন্যবাদ দেব বুঝতে পারছি না। হিরণকে নাকি শুভেন্দুদাকে। আমি হিরণকে দিয়েই শুরু করি। আড়াই বছর ধরে মনের মধ্যে অনেক কথা জমে ছিল। প্রথমেই বলব, কোনো এজেন্সি নিয়ে যখন তদন্ত হয়, তখন সেই তদন্ত নিয়ে বেশি কথা বলা যায় না। আমি খুব আশ্চর্য হলাম এই যে ইডি-সিবিআইয়ের কাছে যে তথ্যপ্রমাণগুলো ছিল, সেটা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে কেন এবং কীভাবে এলো। এটা শুধুই ইডি বা সিবিআইয়ের কাছে থাকা উচিত কিংবা হোম মিনিস্ট্রির কাছে থাকা উচিত, বা কোর্টের কাছে থাকা উচিত। এই চারজনের বাইরে আমার মনে হয় এ তথ্য আর কারো কাছে যাওয়া উচিত নয়। এগুলো খুবই গোপন নথি।’

দেব আরও বলেন, ‘এর থেকে বোঝা যায়, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সোর্স রয়েছে। তাছাড়া, আমি আগেও বলেছি, যে টাকাটা আমি নিয়েছিলাম, সেটা আমি ফিরিয়েও দিয়েছি। সেই তথ্যও আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করব।’

যে কারণে দেব বললেন, ‘চলচ্চিত্রের ৯০ শতাংশ অভিনেতাই গরু চোর’

গরু চোর মন্তব্যে দেব জানান, ‘মঞ্চে যে এতবার পিন্টু মন্ডলের কথা বলছে, আসলে আমি যে পিন্টু মন্ডল সম্পর্কীত ডকুমেন্ট আপলোড করেছি, তা অনেক দিন ধরেই ছিল আমার কাছে। এতদিন আপলোড করার প্রয়োজন মনে করিনি। আজকে আমার মনে হলো, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী, যে গত তিন বছর ধরে আমাকে গরু চোর, গরু চোর বলছে। আমার নাম জুড়েছে পিন্টু মন্ডলের সঙ্গে। কিন্তু উনি কখনো এটা বলেনি যে তার সঙ্গেও পিন্টুর যোগ রয়েছে। হিরণও কাজ করেছেন। আজকে সেই পোস্টারটাই দিলাম। তিনি সবচেয়ে আগে ওনাকে চেনেন। আমার চেয়ে আগে পিন্টু মন্ডলকে চেনেন উনি। তার মানে তো উনিও গরু চোর!’

দেবের ভাষ্য, ‘আজকে শুভেন্দুদা এ পোস্ট করাতে সুবিধা হলো। আমি আমার কথাটাও সামনে আনতে পারলাম। যদি আমি গরুচোর হই, তাহলে তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (চলচ্চিত্রের) ৯০ শতাংশ অভিনেতাই গরুচোর। একটু সার্ভে করলেই দেখা যাবে। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করলেই হবে। রথযাত্রার দিন যে কোনো পেপারেই তারা বিজ্ঞাপন দেয়। কোন শোয়ে, কার সঙ্গে, কোন কোন অভিনেতা রয়েছে। তালিকা থাকে সেই বিজ্ঞাপনে। সেখানে বড় বড় অভিনেতারা কাজ করেছেন। আর কাউকে ডাকা হয়নি। শুধু আমার উপর অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে বলিউড, টালিউড সবাই রয়েছে। আসলে পিন্টু মন্ডল বিখ্যাত শো অরগানাইজার (আয়োজক) ছিলেন। তিনি সবার সঙ্গে কাজ করেছেন, আমিও করেছি। আমি তৃণমূলের সাংসদ বলেই আমাকে ডাকা হয়েছে। শুভেন্দুদার জন্যই আজকে আমি এতদিনের জমানো কথা বলতে পারলাম। ধন্যবাদ তাকে।’

এখন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। অন্যদিকে দেবের ভক্তরা চাইছেন তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসুক।

তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এমএমএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।