ডিএনসিসির প্রায় ১৩ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে টাইফয়েডের টিকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ডিএনসিসির সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থীকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।

ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, মোট ১৮ কর্মদিবসে ২ হাজার ১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ ছাত্র-ছাত্রী ও কমিউনিটির প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মোট ১৮দিন টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)।

আরও পড়ুন
সেপ্টেম্বর নয়, টাইফয়েডের টিকাদান শুরু ১২ অক্টোবর

এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। প্রতিটি টিমে দুজন টিকাদান কর্মী ও তিনজন ভলান্টিয়ার কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনের সেশন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)।

এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই তারা কীভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে- জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে টাইফয়েডের টিকার রেজিস্ট্রেশনের সময় শিশুর জন্মনিবন্ধন নম্বর দিতে হয়। তবে অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই। তারা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না। এমন শিশুরা টিকাদান কেন্দ্র এবং স্কুলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় টিকা নিতে পারবে।

এমএমএ/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।