ঢামেক হাসপাতালের দুই এমআরআই যন্ত্রই বিকল, ভোগান্তিতে রোগীরা

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢামেক প্রতিবেদক ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিকল এমআরআই যন্ত্র/ছবি: জাগো নিউজ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের দুটি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) যন্ত্রই বিকল হয়ে আছে। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। তাদের দ্বিগুণেরও বেশি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এ সেবা নিতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, যন্ত্রগুলো সচল না করার পেছনে একটি বড় সিন্ডিকেট জড়িত আছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে রেডিওলজি বিভাগে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা মেডিকেলের পুরোনো ভবনের এমআরআই যন্ত্রটি করোনা মহামারির সময় থেকেই বন্ধ রয়েছে। আর নতুন ভবনের যন্ত্রটি কাজ করছে না গত তিন মাস ধরে।

এ অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় এমআরআই পরীক্ষা করানোর জন্য বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে এমআরআই করাতে যেখানে খরচ হয় আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা, সেখানে বাইরের প্রতিষ্ঠানে লাগে ছয় থেকে ১২ হাজার টাকা।

ঢামেক হাসপাতালের দুই এমআরআই যন্ত্রই বিকল, ভোগান্তিতে রোগীরা

মো. হান্নান মিয়া নামের এক রোগী বলেন, ‘আমার হাঁটুতে এমআরআই করাবো। এসেছি সরকারি হাসপাতালে, যেহেতু এখানে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলে এজন্য এক মাস যাবত ঘুরছি। এখনো মেশিন নষ্টই রয়েছে।’

এ নিয়ে কথা হলে রেডিওলজি বিভাগের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করে জানান, এখানে বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে, যেন এ যন্ত্র নষ্ট থাকে। তাহলে রোগীরা বাইরে থেকে এমআরআই করালে মোটা অঙ্কের কমিশন তাদের পকেটে ঢুকে।

যোগাযোগ করা হলে রেডিওলজি বিভাগের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে দুটি এমআরআই মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো ভবনে একটি মেশিন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আরেকটি মেশিন ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ তা নষ্ট হয়ে গেলে গত তিন মাস যাবত কোনো কাজ হয়নি। হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন একটি নতুন মেশিনের প্রসেসিং ও পুরোনো মেশিনটি সার্ভিসিংয়ের চেষ্টা চলছে।’

কাজী আল-আমিন/একিউএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।