ভালো প্রশিক্ষণ দিতে পারলে বাইরেও কাজের সুযোগ পাবেন নার্সরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৩

স্বাস্থ্যসেবায় নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা দেন আর বাকি সেবা নার্সরাই দিয়ে থাকেন। তিনি নার্সিং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিদেশে গিয়েও কাজ করার সুযোগ রয়েছে তাদের। তাদের যদি আমরা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারি তাহলেই তারা দেশের বাইরে গিয়েও কাজের সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুন> সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালিক সেবা শুরু

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের অধীনে নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার আসন রয়েছে এবং সাড়ে তিনশোর বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করে এতে। বাংলাদেশে নার্সের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৪৫ হাজার নার্স কর্মরত আছেন।

বর্তমানে যে নার্সের সংখ্যা তার দ্বিগুণেরও বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক থাকলে তিনজন নার্স প্রয়োজন। গত ১০ বছরে প্রায় ৩৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেবার মান বাড়াতে হলে নার্সের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। করোনায় নার্সদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় অনেকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে। এরপরও তারা সেবা দিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুন>মার্চ থেকে শুরু/সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ চিকিৎসকদের

চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুপুর ২টার পরে কোনো চিকিৎসক থাকেন না কিন্তু রোগী তখনও থাকে। জাহিদ মালেক আরও বলেন ‘সেকারণে হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দেন, সেটাই এখানে দেবেন। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ও বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারীদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী।

আরও পড়ুন>নার্সিং পেশার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল

নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, এনডিসি মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ।

 

এএএম/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।