শিক্ষার্থী সংকট

বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো মানোন্নয়নের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ২৫ মে ২০২৪

দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো চরম শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এ তথ্য জানিয়েছে। এ অবস্থার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অটোমেশন নীতিকে দায়ী করছেন তারা।

তবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা শুধুমাত্র অটোমেশনকে শিক্ষার্থী না পাওয়ার কারণ হিসেবে মানতে নারাজ। শিক্ষার্থী পেতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো মানোন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান শিক্ষার্থী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিপিএমসিএ।

আলোচনা সভায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদ্ধতিগত ভুলের কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। অটোমেশনের নামে প্রাইভেট মেডিকেল খাত ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এক হাজার ২০০ সিট খালি রয়েছে। গত দুই বছর এসব মেডিকেল কলেজে ২০ শতাংশের বেশি আসন খালি ছিল। এমনকি গরিব ও মেধাবী কোটাতেও শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। একই কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীও কমে গেছে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে মানোন্নয়নের তাগিদ

তবে মালিকপক্ষের এ দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, অটোমেশন নতুন কিছু নয়। এটি আগেও ছিল। আমি নিজে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আবেদন করতে পারিনি। কারণ আমার রেজাল্ট কিছুটা কম ছিল। আমাদের সময় এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ভাইভা হতো। তাই শুধু অটোমেশনের জন্য শিক্ষার্থী আসছে না, তা হতে পারে না। এর অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে মানোন্নয়নের তাগিদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেসরকারিতে মানুষ কোয়ালিটির চিন্তা করে। কারণ তারা এখানে অর্থ ব্যয় করছে। কোয়ালিটি মেইনটেইন না হলে কাজ করার প্রয়োজন নেই। সেটা যে খাতেই হোক না কেন। এই কোয়ালিটি আমি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দুই ক্ষেত্রেই চাই।

তিনি আরও বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ করতে হলে আগে হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। রোগীরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের শেখার ল্যাবরেটরি। হাসপাতাল ঠিকমতো চালু হলে পরে মেডিকেল কলেজের অনুমতি হওয়া উচিত। যাদের পড়াবো তারা মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি হবেন কি না তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষায় নানান সমস্যা ও করণীয় নিয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিক ও সাংবাদিকরা।

এএএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।