ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৯ সন্তান হারানো চিকিৎসকও প্রাণ হারালেন
১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারায়। এবার নিজেও দুনিয়ার মায়া ছেড়ে গেলেন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অলি-গলি যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। আশ্রয় নেওয়ার জন্য কোথাও একটু নিরাপদ জায়গা নেই। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ সন্তানকেই হারিয়েছিলেন হামদি আল-নাজ্জার নামের এক চিকিৎসক। তিনি নিজেও ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন নিবিড় পরিচর্যায় থাকার পর তার মৃত্যু হয়। তবে ওই হামলা থেকে তার স্ত্রী এবং তাদের ১১ বছর বয়সী ছেলে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে। তার স্ত্রী আলা আল-নাজ্জার ইসরায়েলি হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিলেন। তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক।
আলা আল-নাজ্জার শুক্রবার সকালে দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। সে সময় তার ১০ সন্তানের সবাই বাড়িতেই ছিল।
- আরও পড়ুন:
- গাজায় প্রতি ২০ মিনিটে একটি শিশু আহত-নিহত হচ্ছে: জাতিসংঘ
- গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে শিশুরা, চাপ বাড়লেও থামছে না ইসরায়েল
তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালনের সময় তার সাত সন্তানের মরদেহ এসে পৌঁছায়। তাদের বেশির ভাগের শরীরই ছিল দগ্ধ। ঘটনার পরপরই তার সাত সন্তানের মরদেহ হাসপাতালে আনা হলেও দুজনের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল। নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিশুটির বয়স ১২ বছর। আর সবচেয়ে ছোটটির বয়স ৭ মাস।
টিটিএন