‘ভুয়া দূতাবাসের’ হোতাকে জিজ্ঞাসাবাদ, বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৫
‘ভুয়া দূতাবাসের’ হোতা/ছবি: এনডিটিভি।

ভারতে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া হর্ষবর্ধন জৈনের বিরুদ্ধে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বিস্ময়কর সব তথ্য। তার বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ১৬২ বার বিদেশ সফর, বহু বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও প্রায় ৩০০ কোটি রুপির প্রতারণা চক্রে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

উত্তরপ্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স হর্ষবর্ধন জৈনকে গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদের একটি ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ওই বাড়িটিকে তিনি ভুয়া দূতাবাস হিসেবে চালাচ্ছিলেন।

তদন্তে জানা গেছে, হর্ষবর্ধন এই ভুয়া দূতাবাস ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক তৈরি করতেন এবং লোকজনকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন।

তিনি হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাচারেও জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ এসটিএফ-এর।
ভুয়া কাগজপত্র, চারটি কূটনৈতিক নম্বর প্লেট সংবলিত গাড়ি এবং দামী ঘড়ির সংগ্রহ পাওয়া গেছে অভিযুক্তের কাছ থেকে।

২০১৭ সাল থেকে জৈন এই ভুয়া দূতাবাস পরিচালনা করে আসছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে।
চোখে ধুলো দিতে তিনি নিয়মিত ভোজনদানের মতো ‘সামাজিক’ অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন।
বর্তমান বাড়িটি তিনি মাত্র ছয় মাস আগে ভাড়া নেন। যদিও ৮ বছর ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছেন।

এই ভুয়া দূতাবাসে বিতর্কিত 'ধর্মগুরু' চন্দ্রস্বামী ও সৌদি অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগির সঙ্গে হর্ষবর্ধনের ছবি পাওয়া গেছে।

চন্দ্রস্বামী ৮০ ও ৯০-এর দশকে প্রভাবশালী ছিলেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক জালিয়াতি, এমনকি রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে অর্থ জোগানোর অভিযোগও ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা হর্ষবর্ধন জৈনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করবে। তদন্ত আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।