পাহেলগামে হামলায় জড়িত তিনজনকে হত্যার দাবি ভারতের
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাইসরান উপত্যকায় এ বছরের এপ্রিলে যে ভয়াবহ পর্যটক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, তাতে জড়িত তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) লোকসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, সোমবার ‘অপারেশন মহাদেব’ নামে একটি যৌথ অভিযানে তিনজনকেই হত্যা করা হয়।
কাশ্মীরের দাক্ষিগাম ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে এই তিন ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন>>
- পুরোনো বন্দিদের ব্যবহার করে ভুয়া ‘এনকাউন্টার’ সাজানোর ছক কষছে ভারত: পাকিস্তান
- ভারত-পাকিস্তান সংঘাত কেন আগের চেয়ে ভিন্ন ও বিপজ্জনক?
- ভারত-পাকিস্তানকে যেভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করালো যুক্তরাষ্ট্র
অমিত শাহ বলেন, বাইসরান উপত্যকায় যারা আমাদের নিরীহ নাগরিকদের হত্যা করেছিল, তারা এই তিন ‘পাকিস্তানি জঙ্গি’। তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মে মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে এই অভিযান চালানো হয়।
এপ্রিলে বাইসরানে এক পর্যটন এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় পর্যটক। দেশজুড়ে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং ভারতের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার চাপে পড়ে।
এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারত সীমান্তের ওপারে বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে পাকিস্তানও আক্রমণ করে। এতে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বহু লোক নিহত হন।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের মূল কেন্দ্র কাশ্মীর। দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করলেও, বর্তমানে তারা এর একেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এই বিরোধ নিয়ে দুই দেশ অন্তত তিনটি যুদ্ধ করেছে।
এপ্রিলের হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী সশস্ত্র সংঘাতকে সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সময় একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন এবং দাবি করেন, এই সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছিল। যদিও ভারত এই দাবি অস্বীকার করে।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/