যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হলেন ভারতীয় তরুণী, মার্কিন যুবকের ক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতীকী ছবি (এআই দিয়ে তৈরি)

নিজ দেশের এইচ-১বি ভিসা নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসের ডেটা সায়েন্টিস্ট নাথান প্ল্যাটার। সম্প্রতি তার এক ভারতীয় বন্ধু চাকরি হারানোর পর নতুন কর্মসংস্থান না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, এইচ-১বি ভিসাধারীরা চাকরি হারালে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি পেতে হবে, নইলে দেশ ছাড়তে হয়।

প্ল্যাটারের ওই বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করার পর দুই বছর কাজ করেছেন। দীর্ঘ সময় কাজ ও কর দেওয়ার পরও নতুন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ভিসা স্পনসরশিপ না পাওয়ায় তাকে টেক্সাসের অস্টিন থেকে ভারতে ফিরতে হয়েছে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্ল্যাটার বলেন, আমরা তাকে এখানে পড়াশোনা করতে দিলাম, কাজ করার সুযোগ দিলাম, কর নিলাম- আর এখন তাকে বের করে দিচ্ছি! তার মতে, বর্তমান নিয়মের ৬০ দিনের সময়সীমা এতটাই কম যে নতুন চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, কঠোর এই নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রতিভা ধরে রাখার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেক দক্ষ পেশাজীবী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন।

লিঙ্কডইনে এক পোস্টে প্ল্যাটার লেখেন, এই নীতি একেবারেই অযৌক্তিক। আমরা মেধাবীদের তৈরি করছি, অথচ পরে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর হাতে তুলে দিচ্ছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্টার্টআপ, বাড়ির মালিক, শহর; আর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। আন্তর্জাতিক প্রতিভা ধরে রাখতে নতুন পথ খুঁজতে হবে। এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থার এখনই আমূল সংস্কার জরুরি।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।