‘মানবিক কারণে’ দুই ব্রিটিশ মাদককারবারিকে মুক্তি দিলো ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাজ্যের দুই মাদককারবারীকে মুক্তি দিলো ইন্দোনেশিয়া/ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ায় মাদক চোরাচালানের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুক্তরাজ্যের এক নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সী লিন্ডসে স্যান্ডিফোর্ড নামের ওই নারী ১২ বছর কারাভোগের পর শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরেছেন। স্যান্ডিফোর্ডের সঙ্গে শাহাব শাহাবাদি নামে যুক্তরাজ্যের আরও এক নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়েছে। তিনিও মাদকপাচারের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্য ও ইন্দোনেশিয়া সরকারের মধ্যে হওয়া একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জেল কর্তৃপক্ষ।

২০১৩ সালে লিন্ডসে স্যান্ডিফোর্ড বালিতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তার এক বছর আগে ২০১২ সালে থাইল্যান্ড থেকে বালিতে পৌঁছানোর সময় তার কাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি কোকেইন জব্দ করা হয় যার বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে অপরাধের দায় স্বীকার করে তিনি আদালতকে বলেন, একটি আন্তর্জাতিক মাদক চক্র তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি মাদক বহন করেছিলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদকবিরোধী অবস্থানের কারণে বিশ্বে ইন্দোনেশিয়া বেশ পরিচিত। তবে গত এক বছরে দেশটি কয়েকজন আলোচিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যাদের মধ্যে কুখ্যাত ‘বালি নাইন’ মাদকচক্রের সদস্যরাও রয়েছেন।

ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি বালি থেকে উড্ডয়ন করে।

দুজনই কারাগারে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী ইউসরিল ইহজা মাহেন্দ্রা জানান, স্যান্ডিফোর্ড ‘গুরুতর অসুস্থ’ এবং শাহাবাদি ‘বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতায়’ ভুগছিলেন।

যুক্তরাজ্যের ইন্দোনেশিয়া-ভিত্তিক উপ-রাজদূত ম্যাথিউ ডাউইং বলেন, স্যান্ডিফোর্ড ও শাহাবাদি দুজনকেই ‘মানবিক কারণে’ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশে ফেরার পর তারা যুক্তরাজ্যের আইন ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধানের আওতায় থাকবেন।

কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।