চীনের বহরে যুক্ত হলো আরও এক বিমানবাহী রণতরী
চীনের সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। কয়েক দিন আগে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
‘ফুজিয়ান’ হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত। এতে রয়েছে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম, যা যুদ্ধবিমানগুলোকে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গতিতে উড্ডয়ন করতে সহায়তা করবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, এই রণতরী একসঙ্গে তিন ধরনের ভিন্ন যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করাতে সক্ষম। ফুজিয়ান-এর সমতল ফ্লাইট ডেক ও শক্তিশালী ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি বিমানগুলোকে বেশি অস্ত্র ও জ্বালানি বহনের ক্ষমতা দেয়, যার ফলে তারা শত্রুর অবস্থানে আরও দূর থেকে আঘাত হানতে পারবে।
চীনের প্রথম দুটি রণতরী ‘লিয়াওনিং’ ও ‘শানডং’ ছিল রাশিয়া নির্মিত নকশার ওপর ভিত্তি করে তৈরি, কিন্তু ফুজিয়ান সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত। এর ফলে এটি চীনের নৌবাহিনীর সক্ষমতায় এক নতুন অধ্যায় সূচিত করেছে বলে উল্লেখ করেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম, যা একে চীনা নৌবাহিনীর উন্নয়নের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে চীনের নৌবাহিনীই বিশ্বের সবচেয়ে বড়। শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বে দেশটি গত কয়েক বছরে অভূতপূর্ব হারে নৌবাহিনী সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বে চীন ছাড়া একমাত্র দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, যার রণতরীতে একই ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি রয়েছে।
ফুজিয়ান-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বুধবার হাইনান প্রদেশের একটি নৌ ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট শি রণতরীর ডেকে উঠে এর সমুদ্র অভিযানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ব্রিফিং নেন।
চীনা গণমাধ্যম জানায়, শি জিন পিং নিজেই এই উন্নত ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম