এক দশক পর অবসর নিচ্ছেন ওয়ালমার্টের সিইও ম্যাকমিলন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
ডগ ম্যাকমিলন/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডগ ম্যাকমিলন আগামী বছর অবসরে যাচ্ছেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে একটি প্রযুক্তিনির্ভর খুচরা-বাণিজ্য শক্তিতে রূপান্তর করে বিদায় নিচ্ছেন। তার সময়ে ওয়ালমার্টের শেয়ারদর ধারাবাহিকভাবে বাজারের তুলনায় ভালো করেছে।

৫৯ বছর বয়সী ম্যাকমিলনের স্থলাভিষিক্ত হবেন কোম্পানির যুক্তরাষ্ট্র বিভাগের প্রধান জন ফার্নার (৫১)। তিন দশক ধরে ওয়ালমার্টে কাজ করা ফার্নারকে প্রতিষ্ঠানটির ভেতর থেকেই উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ম্যাকমিলনের অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা আগেই এসেছে। তবে আগামী ৩১ জানুয়ারি অবসরের সময় পর্যন্ত তিনি ওয়ালমার্টের ইতিহাসে দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বদানকারী সিইওদের অন্যতম হয়ে থাকবেন।

গর্ডন হ্যাসকেটের বিশ্লেষক চাক গ্রোম বলেন, ম্যাকমিলন নিঃসন্দেহে স্যাম ওয়ালটনের পর ওয়ালমার্টের সেরা সিইও। তাই তার আগাম বিদায়ের ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের কিছুটা উদ্বিগ্ন করতেই পারে।

ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত নেতৃত্ব পরিবর্তন।

ম্যাকমিলন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাইক ডিউকের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন, যখন ওয়ালমার্ট অনলাইন বিক্রিতে অ্যামাজনের পেছনে পড়ে যাচ্ছিল। তিনি কোম্পানির বিস্তৃত স্টোর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থা গড়ে তোলেন, গুদামগুলোতে অটোমেশন প্রযুক্তি যুক্ত করেন, মার্কেটপ্লেস ও বিজ্ঞাপন ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।

তার নেতৃত্বে ওয়ালমার্টের বাজারমূল্য তিন গুণেরও বেশি বেড়ে বর্তমানে ৮১৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় কোম্পানির ই-কমার্স বিক্রি ছিল মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি; ২০২৪ সালের জানুয়ারি শেষে অর্থবছরে তা ছাড়িয়ে গেছে ১২০ বিলিয়ন ডলার।

গ্লোবালডাটার রিটেইল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিল স্যান্ডার্স বলেন, ডগের নেতৃত্বে ওয়ালমার্ট দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। কোম্পানি আরও প্রভাবশালী ই-কমার্স প্লেয়ারে পরিণত হয়েছে, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা বাড়িয়েছে এবং রিটেইল মিডিয়া–এর মতো নতুন খাতে প্রবেশ করেছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।