থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ বিতর্কিত সীমান্তের উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় থাইল্যান্ড দেশটির ত্রাত প্রদেশে কারফিউ ঘোষণা করেছে। থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরাসান্ত কংসিরি কারফিউ ঘোষণার পর ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, থাইল্যান্ড একটি কূটনৈতিক সমাধানের জন্য উন্মুক্ত, তবে আলোচনা করার আগে কম্বোডিয়াকে প্রথমে শত্রুতা বন্ধ করতে হবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সহিংসতা রোববারও (১৪ ডিসেম্বর) অব্যাহত রয়েছে। এর আগে উত্তরের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে সব সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় কম্বোডিয়া।

এই সংঘাতের মূল কারণ হলো তাদের ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) যৌথ সীমারেখা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং উভয় পক্ষেই অর্ধ-মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

থাই পত্রিকা মাতিচন অনলাইন রয়্যাল থাই নেভির মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল পারাচ রাট্টানাচাইয়াপানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, তাদের বাহিনী উপকূলীয় প্রদেশ ত্রাতের একটি এলাকায় থাই সার্বভৌম ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

রাট্টানাচাইয়াপান থাই পত্রিকাটিকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার নীতি এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষারভিত্তিতে এই অভিযানটি ভোরের প্রথম প্রহরে তীব্র সংঘর্ষের মাধ্যমে শুরু হয়।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সফলভাবে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে এনে পুনরুদ্ধার করেছে এবং সব বিরোধী বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।