বিচারকদের নিয়ে ইসির ৩০০ নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গঠন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচন ভবন/ ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম অনুসন্ধান এবং নির্বাচনি অপরাধসমূহের সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’ গঠন করেছে কমিশন। এসব কমিটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১এ এবং ৯১এএ-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গঠিত হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপসচিব মোহাম্মদ দিদার হোসাইনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এসব কমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ৩০০ কমিটিতে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।তাদের মূল দায়িত্ব নির্বাচন-পূর্ব অনিয়মসমূহ অনুসন্ধান করা। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত আইনের আওতাধীন অপরাধসমূহের সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য সম্পন্ন করা।

কমিটির কর্মকর্তারা প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই নিজ দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন এবং নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন। তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন
ভোটের মাঠে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা ইসির, কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ 
ঝুঁকি-গান পয়েন্টে থাকা শীর্ষ জুলাই-যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ 

এছাড়া নির্বাচন-পূর্ব কোনো অনিয়ম হলে কমিটিগুলো তিনদিনের মধ্যে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবেন। জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠাবেন। এরপর দ্রুত ওই প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিবের (আইন বিষয়ক-১ শাখা) ইন্টারনাল অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে। কমিটিগুলো সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।

ইসি আরও জানায়, যদি কোনো নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর লঙ্ঘনজনিত কারণে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১খ (৩) অনুচ্ছেদের আওতাধীন অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য হয়, তবে কমিটি ওই আদেশের ৯১কক অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করতে পারবে। এছাড়াও, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ৭৩, ৭৫ ও ৭৭ এর আওতাধীন অপরাধসমূহও এই কমিটি ৯১কক অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করতে পারবে। কমিটির কার্যক্রমে সহায়তার জন্য নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, দায়িত্বপালনকালে একজন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে সঙ্গে রাখা যাবে। সব জেলা প্রশাসককে চাহিদা ও প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিক জিপগাড়ি বা মাইক্রোবাস বা স্পিডবোট এবং ক্ষেত্রমতো প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে। সব পুলিশ কমিশনার/ পুলিশ সুপারকে কমিটির কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য নিয়োগের অনুরোধ করা হয়েছে। অনুসন্ধান বা বিচারকার্য পরিচালনার জন্য কমিটির চাহিদামতো প্রয়োজনীয় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার/ পুলিশ সুপার/ স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে। কমিটির কর্মকর্তারা ও সহায়ক কর্মচারী বিধি মোতাবেক যাতায়াত ভাতা/ দৈনিক ভাতা (টিএ/ডিএ) পাবেন।

এমওএস/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।