চীনে একই পরিবারের ৪ শিশুর আত্মহত্যা!

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কীটনাশক পান করে একই পরিবারের চার শিশু আত্মহত্যা করেছে। তাদের সকলের বয়স ৫ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে মাসের পর মাস ধরে বাবা-মা তাদের খোঁজ-খবর না নেয়ায় তারা হয়তো এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। শুক্রবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার একথা জানায়।
মা-বাবার গ্রামে ফেলে যাওয়া সন্তানদের করুণ অবস্থার কথা উল্লেখ করে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, এসব শিশু চীনের প্রত্যন্ত গুইঝু প্রদেশের বিজিতে তাদের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে বিষ পান করে। পরে এতে তাদের খিঁচুনি উঠলে এক গ্রামবাসী তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরে তারা দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে পুলিশ ধারণা করছে। তারা এক ভাই তিন বোন। তাদের মধ্যে ভাই সবার বড়। বাবার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে তাদের মা ঘর ছেড়ে চলে যান এবং তিনি কোথায় রয়েছেন তার সন্তানরা তা জানেও না।
গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির একজন প্রধান ও এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে সিনহুয়ার খবরে আরো বলা হয়, ঝাং ফাঙ্গি নামে পরিচিত ওই বাবা গত মার্চ মাসে কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। তবে সে তার সন্তানদের খরচ বাবদ মাঝে মধ্যে অর্থ পাঠাতো।
এসব শিশু বছরের পর বছর ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেক নির্যাতনের শিকার হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বালকটি এরআগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। ওই আত্মীয় জানান, একদিন বাবার নির্যাতনে ওই শিশুর বাম হাত ভেঙ্গে যায়।
তিনি আরো জানান, ২০১২ সালের আগস্ট মাসে শিশুটি বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সে নিখোঁজ থাকে। পরে বাড়ি ফিরে আসলে শাস্তি হিসেবে তার মা তাকে খালি গায়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রোদের মধ্যে দাঁড় করে রাখে।
এসএইচএস/এমএস