আবারও উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

বদলায়নি উত্তরপ্রদেশ। হয়তো বদলাবেও না। যেভাবে একের পর এক নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় শিরোনামে আসছে যোগীর রাজ্য। এর আগেও ভারতের উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
ওই রাজ্যের উন্নাও শহরে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার আতঙ্ক এখনও যায়নি মানুষের মন থেকে। এর মধ্যেই আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটল।
এবারের ঘটনাস্থল উন্নাওয়ের প্রতিবেশী গ্রাম ফতেপুর। ওই জেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে তারই এক আত্মীয়।
মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে কানপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া মেয়েটি সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছে, বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং তারপর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় লালা লাজপত রাই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড. অনুরাগ রাজোরিয়া বলেছেন, আক্রান্তকে অক্সিজেনের সহায়তায় রাখা হয়েছে। তাকে প্রাথমিকভাবে মিনি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তাকে বার্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হবে।
এদিকে ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আত্মীয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই কিশোরীর সঙ্গে সম্ভবত কোনও বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়েছিল অভিযুক্ত এবং এর আগে একবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের সালিশি সভায় তাদের দুজনকে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আলাদা থাকতে বলা হয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, উন্নাওয়ের এক তরুণীকে মারধর করে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মেয়েটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিসহ পাঁচজন। সে সময় ওই নারী ধর্ষণের মামলার শুনানির জন্যই আদালতে যাচ্ছিল। তখনই তার ওপর হামলা চালানো হয়। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় ওই নারীর। পরে দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। ওই তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজনকে ঘটনার কিছুদিন আগেই জেল থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
উন্নাওয়ের এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন ওঠে যে ধর্ষণের আসামিদের আদৌও জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত কি-না? এই ঘটনার পর বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে। এই ঘটনার পর রাজ্যবাসীর বিরাট ক্ষোভের মুখে পড়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ আশ্বাস দেন যে, উন্নাও মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার হবে।
টিটিএন/পিআর