করোনা মোকাবিলায় সিঙ্গাপুরের দক্ষতায় মুগ্ধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস। গত সোমবার এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গান কিম ইয়ংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
ড. ট্রেডস বলেন, (করোনাভাইরাস) সংক্রমণ বন্ধ, আক্রান্তদের খুঁজে বের করা, খোঁজ-খবর নেয়া ও যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের (সিঙ্গাপুর) প্রচেষ্টায় আমরা মুগ্ধ। সিঙ্গাপুর কাউকে বাদ দিচ্ছে না; তারা ইনফ্লুয়েঞ্জা-জাতীয় অসুস্থতা, নিউমোনিয়াসহ এ ধরনের ঘটনায় সবাইকে পরীক্ষা করছে। তারা এখনও সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণের কোনও প্রমাণ পায়নি।
গত ২৩ জানুয়ারি ছোট্ট দেশটিতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হন। এর দুই সপ্তাহ পরই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ঝুঁকির সতর্কতা হলুদ থেকে কমলায় উন্নীত করে দেশটির সরকার।
বুধবার সিঙ্গাপুরে নতুন করে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন গ্রেস অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চ এবং একজন লাইফ চার্চ ও মিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তৃতীয়জনের সাম্প্রতিক চীনভ্রমণ বা আগের আক্রান্তদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাকে প্রথমে ডেঙ্গু-আক্রান্ত হিসেবে হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। পরে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর ওই ওয়ার্ডের বাকিদেরও আলাদা রুমে পাঠানো হয়।
এদিন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন আরও পাঁচ কোভিড-১৯ রোগী। এর মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গাপুরে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীও। গত ২২ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। তার ছেলেও ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠছেন। শিগগিরই তিনিও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাবেন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। হাসপাতালে ভর্তি অন্যদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থা স্থিতিশীল। তবে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দেশটিতে আরও চার বাংলাদেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে ২ হাজার ৫৯৩ জনকে চিহ্নিত করেছে, যাদের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের যোগসূত্র রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ১৭২ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এবং এর সময়সীমা পূর্ণ করেছেন অন্তত ১ হাজার ৪২১ জন।
সূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস
কেএএ/এমকেএইচ