সামনে এখনও দীর্ঘ কঠিন পথ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এখন পর্যন্ত যতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারি ‘সবচেয়ে গুরুতর’ বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৪০ হাজার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারি পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হওয়া অব্যাহত আছে। গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মহামারি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে সংস্থাটির জরুরি কমিটির বৈঠক আহ্বান করবেন বলে জানান ট্রেড্রোস।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় গত জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই জরুরি অবস্থায় পরিবর্তন আনার কোনও সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না।
টেড্রোস বলেন, বিশ্বে ব্যাপক প্রচেষ্টা নেয়া স্বত্ত্বেও আমাদের সামনে এখনও দীর্ঘ কঠিন পথ রয়েছে। সীমান্ত বন্ধ এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি বিষয়ক পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেন, এসব ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ছিল না।
করোনাভাইরাসের মহামারির প্রাদুর্ভাব কিছু দেশে নতুন করে শুরু হওয়ায় লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে স্বীকার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। তবে যতটুকু সম্ভব এগুলো খুবই সংক্ষিপ্ত এবং নির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ডা. রায়ান বলেন, ভাইরাসটি সম্পর্কে যত বেশি বোঝাপড়া তৈরি হবে, ততবেশি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনার উৎপত্তি হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি।
সূত্র: বিবিসি।
এসআইএস/পিআর