ভারতে আবারও একদিনে আক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার
অডিও শুনুন
ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। নতুন করে আবারও প্রায় ৯০ হাজার মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আগের দিনের হিসাব অনুযায়ী, এই সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৮০৯ জন। তবে তার আগের কয়েকদিনও সংক্রমণ ছিল প্রায় ৯০ হাজারের ঘরে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ হাজার ৭০৬ জন। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১২৮।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ হাজার ১১৫ জন। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ হাজার ৮৯০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৪ হাজার ৮৯৪ জন। ফলে ইতোমধ্যই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৪ জন। দেশটিতে সুস্থতার হার ৭৭ দশমকি ৩২ শতাংশ। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৯৪।
ভারতের কোভিড-১৯ সংক্রমণে প্রথম থেকেই শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে ইতোমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ পেরিয়ে গেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ২৩ হাজার ৬৪১। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩২২ জন। মহারাষ্ট্রে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৯২।
সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৬ হাজার ৪৯৩। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৪ জন।
তৃতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৫৬। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭ হাজার ৯২৫ জন। ওই রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ লাখ ১০ হাজার ১১৬ জন।
কর্নাটকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৪ হাজার ৩২৪। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৫৩৪ জনের। সুস্থ হয়েছে উঠেছে ৩ লাখ ৭৭০ জন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৫১। কোভিড-১৯ সংক্রমণে ৩ হাজার ৯৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছে উঠেছে ২ লাখ ৫ হাজার ৭৩১ জন।
রাজধানী শহর দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৫৯৯ জন। ওই রাজ্যে সুস্থতার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৪। দিল্লিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২০ হাজার ৫৪৩।
টিটিএন