‘কোভিড-১৯ গুজব’ বলা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে লন্ডনে পুলিশের সংঘর্ষ
![‘কোভিড-১৯ গুজব’ বলা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে লন্ডনে পুলিশের সংঘর্ষ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/london-1-20200920125401.jpg)
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে জারি করা লকডাউনের বিরোধিতায় শনিবার লন্ডনের বিখ্যাত ট্রাফালগার স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন হাজারখানেক বিক্ষোভকারী। কোভিড-১৯কে গুজব দাবি করা এসব বিক্ষোভকারীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। এসময় গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে ৩২ জনকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘কোভিড হচ্ছে গুজব’, ‘আমার শরীর, আমার পছন্দ: বাধ্যতামূলক মাস্ক মানি না’ প্রভৃতি লেখা ব্যানার নিয়ে ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভ করছিলেন লকডাউনবিরোধীরা। এসময় তারা পুলিশকে নিজেদের পক্ষ নির্ধারণ করারও আহ্বান জানান।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নিজেরাসহ অন্য সাধারণ মানুষদের করোনার ঝুঁকিতে ফেলায় তাদের ট্রাফালগার স্কয়ার ত্যাগ করতে বলা হয়। এতে বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
সংক্রমণ প্রতিরোধ আইন অনুসারে বর্তমানে ইংল্যান্ডের লোকজন ছয়জনের বেশি একসঙ্গে সমবেত হতে পারবেন না। তবে রাজনৈতিক সমাবেশের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় রয়েছে। তবে সেটি করতে গেলে রোগ প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এর আগে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজকদের ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছিল।
শনিবারের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন গ্রহণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। ব্রিটিশ সরকার, গণমাধ্যম, এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপরও সন্দেহের কথা বলেন তারা।
যুক্তরাজ্যে সরকারি হিসাবে করোনায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি মাসে স্কুলগুলো ফের খুলে দেয়ার পর প্রয়োজনের তুলনায় করোনা টেস্টের ঘাটতি দেখা দিয়েছে সেখানে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে স্কটল্যান্ডের কিছু অংশ, ওয়েলস ও ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব আমন্ত্রণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমিয়ে দেয়া হয়েছে পাব-রেস্টুরেন্ট খোলা থাকার সময়ও।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে গোটা ইংল্যান্ডেই কিছু বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনা হতে পারে।
কেএএ/এমএস