করোনা সংকট উত্তোরণে আফ্রিকার প্রয়োজন ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০

মহামারি করোনায় অর্থনীতির ক্ষতির সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যয় হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে আগামী তিন বছরে আফ্রিকার দেশগুলোর এক দশমিক ২ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার অর্থ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। শনিবারের প্রতিবেদনে এ খবর জানাচ্ছে বিবিসি।

আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ‘এই সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য আফ্রিকার প্রতি সহায়তার হাত আরও প্রশস্ত করতে হবে গোটা বিশ্বকে।’ তবে বেশিরভাগ মহাদেশের তুলনায় দারিদ্র্যপীড়িত আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কম। বেশি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো বলেই ধারণা।

এদিকে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, মহামারিতে আরও ৪৩ মিলিয়ন আফ্রিকান অতি দরিদ্র হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আইএমএফের ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার অর্থনৈতিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি প্রবণতা ছিল নেতিবাচক। কারণ অনেকে চাকরি হারিয়েছেন; পারিবারিক উপার্জন হ্রাস পেয়েছে ১২ শতাংশ। এর মোকাবিলায় আফ্রিকার অনেক সরকার যে নীতি চালু করেছে তা জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

সংকট কাটাতে আফ্রিকার দেশগুলোকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার দিয়েছে আইএমএফ। তবে বেসরকারি ঋণদাতা ও অন্যান্য দেশের সহায়তা নিয়েও এখনও বিশাল তহবিল ঘাটতিতে রয়েছে দেশগুলো।

আইএমএফ প্রধান বলেছেন, ‘অঞ্চলটির কিছু দেশের রয়েছে অতিরিক্ত ঋণের বোঝা। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত ব্যয় এবং ঋণ পরিশোধের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে অনেক দেশ।’

সহায়তার মাধ্যম হিসেবে ঋণ পরিশোধে অর্থনৈতিক জোট জি-২০ এর স্থগিতাদেশ বাড়ানো ছাড়াও দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোকে ঋণ দেয়ার জন্য আরও তহবিল যোগান দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আফ্রিকার দেশগুলোতে ১৫ লাখের বেশি করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩৭ হাজার। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো গেলে এ সংখ্যা আরও বেশি হতো বলে অনেকে দাবি করলেও কেউ কেউ বলছেন বেশ কয়েকটি মহামারি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা থাকা আফ্রিকা বেশ ভালোভাবে সামাল দিয়েছে করোনা।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।