ভারতে বন্যায় কমপক্ষে ৪০ মৃত্যু, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২০

ভারী বৃষ্টিপাত ও নদী প্লাবিত হয়ে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে সৃষ্ট বন্যায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, তুলা ও অন্যান্য ফসল। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেলেঙ্গানা। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও বুধবারও সেখানে হয়েছে ভারী ও রেকর্ড বৃষ্টিপাত। বৃহস্পতিবার প্লাবিত হয়েছে রাজ্যটির রাজধানী হায়দরাবাদ। শহরটি ভারতের আইটি হাব। মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, অ্যাসেন্টার ও টিসিএস এর বিখ্যাত প্রযুক্তি কোম্পানির সদর দফতর ওই শহরে।

দুই রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, অসময়ের এই বন্যায় দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় ৩০ এবং পশ্চিমের রাজ্য মহারাষ্ট্রে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেয়াল আর ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বন্যার পানি অনেক বাড়িঘরে ঢুকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে গৃহস্থালী জিনিসপত্র। অনেকে বাস্তুহারাও হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে হায়দরাবাদ নগর কর্তৃপক্ষ। বন্যায় শহরের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মানুষের জীবনযাপন ব্যাহত হয়েছে মারাত্মকভাবে। ঘর, অফিস আর রাস্তায় পানি এবং স্রোতের তোড়ে গাড়ি ভেসে যাওয়ার ছবি অনেকে টুইটারে পোস্ট করেছেন।

ভারতের জাতীয় আবহাওয়া দফতর তাদের দৈনিক পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের কিছু জেলায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী শহর মুম্বাই ছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যটিতে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ধানক্ষেতগুলো বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এদিকে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুতা, সয়াবিন এবং ডালের ক্ষেতগুলোর। অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে যথাক্রমে ১৪৩ এবং ৭৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।