থাইল্যান্ডে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২০
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে

থাইল্যান্ডের সাবেক সামরিক শাসকদের তৈরি সংবিধান সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান-ওচার পদত্যাগ দাবিতে সংসদ অভিমুখে পদযাত্রাকালে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষে ৫৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। খবর আল-জাজিরার।

গত জুলাই থেকে দেশটিতে এসব দাবিতে তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলে আসছে। মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে তাদের উপর টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতেও কয়েকজন আহত হয়েছে।

তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে থাইল্যান্ড পুুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় গুলি চালানোর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে আইন প্রণেতাদের আলোচনায় বসার ব্যাপারে চাপ দিতে হাজারও বিক্ষোভকারী সংসদের বাইরে জড়ো হয়। তাদের আরও দাবির মধ্যে রয়েছে- দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান-ওচার পদত্যাগ, সরকার ভেঙে নতুন নির্বাচন ও রাজশাসন সংস্কার।

Thai-1

ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকীরদের উপর টিয়ার গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ

ব্যাংককের এরোয়ান মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন টিয়ার গ্যাসের কারণে ভুগছেন এবং ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তবে কারা ঘটনাস্থলে কারা আগ্নেয়াস্ত ব্যবহার করেছে তা জানা যায়নি। ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকক পুলিশের নির্বাহী প্রধান পিয়া তাভিচাই বলেন, আমরা সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করেছি। সংসদের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ।

এদিকে কয়েক মাস ধরে চলে আসা রাজতন্ত্রের সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি গড়ে ওঠা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত মাসের শেষের দিকে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে দুই দিনের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে অংশ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা বিরোধীদের পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘দেশে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছে সেই সময় পদত্যাগ করে আমার দায়িত্ব পালন ছেড়ে দেব না।’

এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।