ক্রোয়েশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৭ জনের মৃত্যু

ক্রোয়েশিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি মঙ্গলবার বিকেলে মধ্য ক্রোয়েশিয়ায় আঘাত হানে।
জীবিতদের খোঁজে উদ্ধারকারী কর্মীরা সারারাত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পেট্রিনজা শহরে ১২ বছরের এক কন্যা শিশু মারা গেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গ্লিনা শহরের কাছে পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। জাজিনায় একটি গির্জার ধ্বংসস্তূপে সপ্তম ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়। পেট্রিনজার মেয়র বলেছেন, ভূমিকম্পে শহরটির প্রায় অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষ থেকে লোকজনদের বের করে আনা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশকে আরও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় রাতে অনেক লোক তাদের ঘরে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। কিছু লোক তাদের গাড়িতেই ঘুমিয়েছেন বা অন্য এলাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে থেকেছেন। প্রায় ২শ লোক মিলিটারি ব্যারাকে আশ্রয় নিয়েছেন।
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জ্যানেজ লেনার্কিক পেট্রিনজা পরিদর্শনে যাবেন। ভূমিকম্প ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবেও অনুভূত হয়। এছাড়া প্রতিবেশি দেশ বসনিয়া, সার্বিয়া এমনকি ইতালিতেও ভূকম্পন অনূভূত হয়েছে।
Pogledajte trenutak kada se zatresla #Petrinja pic.twitter.com/bZQxtGpU3f
— TV N1 Sarajevo (@N1infoSA) December 29, 2020
মঙ্গলবার পেট্রিনজার টাউন হলের ধ্বংস্তূপ থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়র ডারিঙ্কো ডুমবোভিক স্থানীয় টিভি চ্যানেল এন১কে বলেন, ‘আমরা গাড়ির ভেতর থেকে মানুষজনদের উদ্ধার করছি। আমাদের মধ্যে নিহত বা আহত রয়েছেন কিনা তা আমরা জানিনা। তিনি আরও বলেন, ‘স্বভাবতই আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ তাদের স্বজনদের খোঁজ করছেন।’
২০ হাজার অধিবাসীর নগর পেট্রিনজায় মেয়র যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সেখানে আরও একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ৭২ বছরের মারিসা পাভলোভিক বলেন, ‘বাথরুমের সব টাইলস ভেঙ্গে গেছে, সব থালা-বাসন ভেঙ্গে গেছে। আমরা চাইলেও ফিরে যেতে পারছি না, সেখানে কোনো বিদ্যুৎ নেই।’
নিকটবর্তী সিসাক শহরেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এইচআরটি জানায়, আহতদের চিকিৎসা দিতে সেখানকার স্থানীয় হাসপাতাল হিমশিম খাচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পেট্রিনজা পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ। তিনি বলেন, ‘সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী আছে। পেট্রিনজা থেকে কিছু লোককে আমাদের সরিয়ে নিতে হবে কারণ এখানে থাকাটা নিরাপদ নয়।’
এমকে/এমএস