ভ্যাকসিন সহজলভ্য হলেও সীমান্ত খুলবে না অস্ট্রেলিয়া
এ বছর হয়তো আর সীমান্ত খুলবে না অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হলেও এ বছর তারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রাখতে পারে। সোমবার এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটি। এর সুফলও পেয়েছে তারা। সম্প্রতি দেশটিতে স্থানীয়ভাবে নতুন করে কোনো সংক্রমণ দেখা যায়নি।
দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান ব্রেনডেন মারফি এবিসিকে বলেন, আমাদের অধিকাংশ জনগণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা গেলেও এটা নিশ্চিত নয় যে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যাবে কিনা। সে কারণেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত এ বছর না খোলার সম্ভাবনাই বেশি।
লকডাউন জারি, গণহারে টেস্টিং এবং ট্রেসিংয়ের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় করোনা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখা যায়নি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এর অনেক পরে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়। মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৯০৯ জন।
করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর পরই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এমনকি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং দেশজুড়ে টেস্টিং ও ট্রেসিংও বাড়িয়ে দেয়া হয়। অনেক দেশই যখন সব ধরনের বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে তখনও ব্যতিক্রম পথেই হাঁটছে অস্ট্রেলিয়া।
টিটিএন/এমএস