করোনা টিকা নিলেন নরেন্দ্র মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ০১ মার্চ ২০২১

করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস) হাসপাতালে সোমবার (১ মার্চ) সকালে টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। টিকা নেয়ার ছবিও তিনি পোস্ট করেছেন টুইটারে। খবর- এনডিটিভি।

স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে দিল্লির এইমসে মোদিকে ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা দেন নার্স পি নিভেদা।

টুইটারে মোদি লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিলাম এইমসে। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা স্বল্প সময়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইকে যেভাবে শক্তিশালী করেছেন তা চমকপ্রদ। যারা কোভিড টিকা নেয়ার জন্য মনোনীত তাদের সবার কাছে টিকা নেয়ার আবেদন জানাচ্ছি আমি।’

তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন একসঙ্গে ভারতকে কোভিড-১৯ মুক্ত করি।’

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দফায় মূলত স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হয়। সোমবার থেকে দেশটিতে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফা টিকাদান কর্মসূচি। এবার ৬০ বছর বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের টিকা দেয়া হবে। পাশাপাশি ‘কো-মর্বিডিটি’ থাকলে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরাও টিকা পাবেন।

এই টিকা নেয়ার জন্য কীভাবে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশনা রোববার প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে হলে সর্বোচ্চ ২৫০ রুপি খরচ হতে পারে। তবে সরকারি কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যাবে বিনামূল্যেই।

এদিন টিকা নেয়ার সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর গায়ে শোভা পাচ্ছিল আসামে উৎপাদিত বিশেষ গামছা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য প্রাদেশিক নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই এটি পরেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই গামছাকে বলা হয়, ‘আসামের নারীদের আশীর্বাদের প্রতীক।’

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বয়সসীমার ঘোষণা আসার পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই টিকা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন মোদি। আর জনভোগান্তি এড়াতে প্রধানমন্ত্রী টিকা নিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় কোনো ধরনের বিশেষ কড়াকড়িও আরোপ করা হয়নি।

কোভ্যাক্সিন ছাড়াও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড দিয়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি।

জেএইচ/এসএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।