টিকা নিয়ে উপহাস করা ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে উপহাস করা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তি সম্প্রতি এই ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন। স্টিফেন হারমন (৩৪) নামের ওই ব্যক্তি লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার করোনা রিজিওনাল মেডিকেল সেন্টারে তার মৃত্যু হয়।

তিনি দীর্ঘ এক মাস করোনার সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারান। হিলসং চার্চের সদস্য হারমন টিকার বিরোধিতায় বেশ সক্রিয় ছিলেন। ভ্যাকসিন না নেয়ার বিষয়ে তিনি উপহাস করেছেন এবং ধারাবাহিক ভাবে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এদিকে হিলসং চার্চের প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান হোস্টন জানান, তার পরিচিত মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে উদার ও ভালো মানুষদের মধ্যে তিনি (হারমন) একজন।

গত জুনে তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, আমার ৯৯টি সমস্যা হলেও টিকা যেন আরেকটি সমস্যা না হয়। মূলত তিনি তার ফলোয়ারদের উদ্দেশেই এমন টুইট করেন। টুইটারে তার সাত হাজার ফলোয়ার আছে।

মৃত্যুর আগের কিছুদিন স্টিফেন হারমন হাসপাতালের বেডে শুয়েই নিজের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। তিনি জানান তার নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে এবং অক্সিজেনের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। গত বুধবার মৃত্যুর আগে এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, জানিনা কখন ঘুম থেকে জাগব, আমার জন্য দোয়া করবেন।

লস অ্যাঞ্জেলসের বাইরে একটি হাসপাতালে তার নিউমোনিয়া ও করোনার চিকিৎসা চলছিল। করোনাভাইরাসের টিকার ওপর তার বিশ্বাস ছিল না। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা অবস্থায়ও হারমন জানান যে, তিনি টিকা নেবেন না, তার বিশ্বাসই তাকে রক্ষা করবে। হাসপাতালে ভর্তির আগেও সামাজিক মাধ্যমে টিকা নিয়ে মজা বা রসিকতা করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই টিকা নেননি। লোকজনকে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার গণস্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, প্রায় ৮ হাজার নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬৫৫ জন।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।