২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ছবি: আল জাজিরা

অডিও শুনুন

করোনাভাইরাসে এখনো বিপর্যস্ত বিশ্ব। এরইমধ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে নানা দেশ। খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব কিছু। এই অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত বেড়েছে। তবে একই সময়ে কমেছে মৃত্যু।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ১৭০ জন। আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। এদিন মারা গিয়েছিলেন ১০ হাজার ২০০ জন।

এদিকে মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৮ জন। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিলেন ৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৪ জন।

করোনা বিষয়ে তথ্য রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৭ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ২২ কোটি ৭৮ লাখ ২৬ হাজার ৩৭০ জন। এর মধ্যে ২০ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৪১৫ জন সুস্থ হয়েছেন।

তবে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭২৬ জন।

এরপরে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ৫২২ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৭৮ জন। আর ৩ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৭ জন মারা গেছেন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইরান, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৮ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ১০৯ জন। আর ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন সুস্থ হয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ এবং শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছে।

জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।