বিশ্বে করোনায় আরও ৭ হাজারের বেশি মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২১
ফাইল ছবি

অডিও শুনুন

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ৭ হাজার ১৯৪ জন। আর একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৯০ জনে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫১ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৯ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২৪ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার একজন। এর মধ্যে ২২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১০২ জন সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৫ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৪২৮ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪৭ জন।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৫৯ জনে। আর মারা গেছেন ২৩২ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৪৪১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬ জন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা মোট ২ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪১ জন হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৪ হাজার ৭৬৪ জন। আর সেরে উঠেছেন ২ কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৯ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৭ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮০১ জন। আর ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।

এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।