বন্ধ হচ্ছে ‘নরকের দরজা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২২

‘নরকের দরজা’ বলে পরিচিত তুর্কমেনিস্তানের মরু গর্তের আগুন নিভিয়ে ফেলতে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন। কারাকুম মরুভূমির একটি গর্তে কয়েক দশক ধরে জ্বলছে এ আগুন। তুর্কমেনিস্তানের দরওয়াজা শহরের একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র এটি। দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিমুখটি অনবরত জ্বলছে বলে একে ‘নরকের দরজা’ বলা হয়।

কারাকুম মরুভূমির অগ্নিমুখটির ব্যাস ৬৯ মিটার (২২৬ ফু) ও গর্ত ৩০ মিটার (৯৮ ফু) দীর্ঘ। জানা গেছে, ভূতত্ত্ববিদগণ মিথেন গ্যাসের বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য জ্বলা মুখটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন এবং এটি ১৯৭১ সাল থেকে ক্রমাগত জ্বলছে।

Turkmenistan3

অগ্নিমুখটি দেখতে প্রতিবছরই পর্যটকরা দরওয়াজা শহরে ভিড় করেন। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক স্থানটি পরিদর্শন করেছেন।

পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত কারণে প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখামেদভ এটি বন্ধ করতে চান। তাছাড়া একই সঙ্গে গ্যাস রপ্তানির উদ্যোগ বাড়ানোর বিষয়টিও রয়েছে।

টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হারিয়ে ফেলছি। যা দিয়ে আমার অনেক মুনাফা অর্জন করতাম এবং সেগুলো আমাদের জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা যেত।

Turkmenistan3

এর আগেও বেশ কয়েকবার এই গর্তের আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১০ সালেও প্রেসিডেন্ট বেরদিমুখামেদভ বিশেষজ্ঞদের আগুন নেভানোর উপায় বের করার নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এটির নামকরণ করেন ‘শাইনিং অব কারাকুম’।

কারাকুম মরুভূমির দরওয়াজা গর্তের সৃষ্টি নিয়ে রহস্যও আছে বটে। অনেকে মনে করেন, ১৯৭১ সালে সোভিয়েত খননের সময় এটি সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে কানাডার অনুসন্ধানকারী জর্জ কৌরোনিস গর্তের গভীরতা পরীক্ষা করেন। তিনি আবিষ্কার করেন, প্রকৃতপক্ষে কেউ জানে না কীভাবে এই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় তুর্কমেন ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ১৯৬০-এর দশকে এই বড় আকারের গর্ত তৈরি হয়। কিন্তু আশির দশকে এতে আগুন জ্বলতে শুরু করে।

সূত্র: বিবিসি

এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।