একদিনের ব্যবধানে ফের মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের যান্ত্রিক সমস্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

সম্ভাব্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ফিজি থেকে সিডনিতে ফিরে গেছে কানতাস এয়ারওয়েজ লিমিটেডের একটি ফ্লাইট। অকল্যান্ড থেকে সিডনিগামী একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইটে মাঝ আকাশে সমস্যা হওয়ার একদিন পরেই একই এয়ারলাইনসের আরও একটি ফ্লাইটে ঘটলো এ ঘটনা। খবর ব্লুমবার্গের।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার কানতাসের কিউএফ১০১ ফ্লাইটে সম্ভাব্য যান্ত্রিক গোলযোগের সংকেত পাওয়ার পরপরই প্লেনটি সিডনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যান পাইলট।

আরও পড়ুন>> নেপালে প্লেন বিধ্বস্ত, ৭১ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্লেনটি ছিল বোয়িং ৭৩৭ মডেলের। গত বুধবার একই সংস্থার একই মডেলের আরেকটি প্লেনে গোলযোগ দেখা দিয়েছিল।

কানতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংকেত পাওয়ার পর ক্রুরা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করেন এবং প্লেনটি স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করে।

তারা জানিয়েছে, কিউএফ১০১ ফ্লাইটটির জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হয়নি এবং এর ত্রুটি নির্দেশক সংকেত ইঞ্জিনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। প্রকৌশলীরা প্লেনটি পরীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনটি।

আরও পড়ুন> নেপালে প্লেন দুর্ঘটনার ঠিক আগ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল

jagonews24সিডনি বিমানবন্দরে কানতাসের কিউএফ১৪৪ ফ্লাইট। ছবি সংগৃহীত

এর আগে, গত বুধবার নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিগামী কানতাসের কিউএফ১৪৪ ফ্লাইটে সমস্যা দেখা দেয়। প্লেনটির দুটি ইঞ্জিনের একটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও সেটি নিরাপদে গন্তব্যে অবতরণ করে।

এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, এভাবে প্লেনের একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। তবে বোয়িং ৭৩৭ এক ইঞ্জিনেও উড়তে সক্ষম এবং তাদের পাইলটরা বিষয়টি সামলানোর মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

আরও পড়ুন> প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখে নেপালের ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে জানা যায়, কানতাসের কিউএফ১৪৪ ফ্লাইটটিতে মোট ১৪৫ জন আরোহী ছিলেন। মাঝ আকাশে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও যাত্রীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। তারা মাটিতে নামার পরেই এ বিষয়ে জানতে পারেন।

ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখার পরপরই ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন প্লেনটির পাইলট। সাধারণত, বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিপদগ্রস্ত প্লেনটিকে অবতরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের কাছে এ সংকেত পাঠান পাইলটরা।

আরও পড়ুন>> নেপালে যত ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা

ফ্লাইট রাডারের তথ্য বলছে, মাঝ আকাশেইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়া প্লেনটি উচ্চতা এবং গতি দুটোই হারিয়েছিল।

কানতাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গন্তব্য থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে থাকতে প্লেনটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্লেনটি নিরাপদেই অবতরণ করে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।