পশ্চিমবঙ্গ আমার দ্বিতীয় ঘর: রাজ্যপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ধৃমল দত্ত, কলকাতা

কয়েকদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপালের (গভর্নর) দায়িত্ব নিয়েছেন ড. সি ভি আনন্দ বোস। এরই মধ্যে বাংলাকে আপন করে নিয়েছেন তিনি। রপ্ত করা শুরু করছেন বাংলা ভাষাও। এবার তিনি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গ তার দ্বিতীয় ঘর।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে কলকাতার পার্শ্ববর্তী দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে সস্ত্রীক পূজা দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন ড. সি ভি আনন্দ বোস।

আরও বলুন> পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি

পুজা দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। এ সময় তিনি বলেন, বাংলার অন্যতম তীর্থস্থান দক্ষিণেশ্বর। আর ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত এ মন্দির। তাই এখানে মায়ের কাছে পূজা দিতে এসেছি।

বাংলা ভাষার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ভাষাটা শেখার বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ আমার দ্বিতীয় ঘর। স্বাভাবিকভাবেই আমাকে এখানকার সংস্কৃতি ও ভাষা আত্মস্থ করতে হবে। আমিও এখানকার মানুষকে ভালোবাসি। এটি ভারতের মহান একটি অংশ।

‘এখানকার অতিথিপরায়ণ ও অত্যন্ত আন্তরিক মানুষগুলো আমার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তাই আমি এখানে আসতে পেরেছি।’ তবে বাংলার সংস্কৃতির প্রশংসা করলেও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক ও বাংলার রাজনীতি নিয়ে করা প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন> অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে আবারও বিশ্বভারতীর চিঠি

জগদীপ ধনকড় উপ-রাষ্ট্রপতি হওয়ায় বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাজ্যপাল থাকার পর বাংলার স্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব নেন আনন্দ বোস। এরপর ধীরে ধীরে বাংলাকে আপন করে নিতে ‍শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।

অন্যদিকে, সরস্বতী পূজার দিন বাংলায় হাতেখড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেন তিনি। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যান আনন্দ বোস। সেখান থেকে ফিরেই রোববার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আসেন। তার আগমন ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর।

আরও পড়ুন> তৃণমূল বিধায়কের পা টিপে নেওয়ার ছবি ভাইরাল, বিজেপির কটাক্ষ

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।