স্থূলতায় ভুগবে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ
![স্থূলতায় ভুগবে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/obbesity-20230303123823.jpg)
এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মাত্রাতিরিক্ত ওজন বহন করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন। আর ওজন বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হবে শিশুদের মধ্যে।
পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা এখন ৭৮৮ কোটি। সে হিসাবে এবং ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামি এক যুগে ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যায় ভুগবেন।
আরও পড়ুন>> শ্রীলঙ্কার অর্ধেক পরিবার শিশুদের খাবার কমাতে বাধ্য হচ্ছে
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মোটা বা স্থূলকায় মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থূলতাজনিত খরচ বার্ষিক ৪ লাখ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি হতে পারে।
অনুমান করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। বিশ্বব্যাপী মোট পণ্যের ৩ শতাংশের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর বলেন, আমাদের প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা ভয়াবহ। এসব ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বেশ কয়েকটি দেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
আরও পড়ুন>> কানাডায় পর্যটকদের জন্য কাজের সুযোগ
‘যদি স্থূলতা মোকাবিলায় ব্যর্থ হই, তাহলে বুঁঝতে হবে আমরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভবিষ্যত প্রজন্ম। অন্তত আমাদের প্রতিবেদনের ফলাফল সে সতর্কবার্তাই দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্থূলতা সবচেয়ে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যেই এ সমস্যা সমান হারে বৃদ্ধি পাবে। বিষয়টি সত্যিই বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। তাছাড়া আগামীতে স্থূলতা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে এমন শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে নয়টিই আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ।
স্থূলতা বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- খুব বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকার অভ্যাস, দুর্বল খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নীতি ও ওজন নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয়-উপযুক্ত স্বাস্থ্যশিক্ষা না থাকা।
আরও পড়ুন>> রান্নার শো’তে দোকানের বিরিয়ানি নিয়ে হাজির প্রতিযোগী!
অন্যদিকে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে এ সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো, এসব অঞ্চলের লোকজন স্থূলতা ও এর পরিণতি সম্পর্ক খুব বেশি জানতে পারে না। তাছাড়া তারা এ বিষয়ে সচেতন না বললেই চলে। সোমবার (৬ মার্চ) এসব তথ্য জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে।
স্থূলতা হলো একটি মেডিক্যাল টার্ম, যা উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ