ঢাবির হলগুলো যেন এক একটি মিনি ইডেন গার্ডেন
ঢাকা থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেনের দূরত্ব তেমন বেশি নয়! খুব কাছে থেকেও তবু যেন অনেক দূরে! স্টেডিয়ামে বসে মাশরাফিদের সর্মথন জানানোর প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ দর্শকেরই সে সুযোগ হচ্ছে না। তবুও বসে নেই টাইগার সর্মথকরা। খেলা দেখতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে বড় পর্দা। দূর থেকেই বরং তামিমদের উৎসাহ জোগাবেন টাইগার ভক্তরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে উৎসাহ যোগাতে উৎসবমুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো। প্রায় প্রতিটি হলেই টিভি রুমে শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে বসে আছেন টাইগারদের জয় দেখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও টিএসসির বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনগুলোর কার্যালয় যেন এক একটি ছোট ছোট ইডেন গার্ডেন।
জমজমাট অবস্থা ‘ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর’ হিসেবে পরিচিত মধুর ক্যান্টিনেও। কি নেতা-কর্মী! টাইগারদের খেলা উপলক্ষে সব দূরত্ব ভূলে সবাই গলা ফাটাচ্ছেন বাংলাদেশের সমর্থনে। সাকিব-মুশফিকদের ব্যাটে রানের বন্যা কিংবা তাসকিন-আল আমিনদের গতির ঝড়ে উড়ে যাবে পাকিস্তান বাহিনী, এমনটাই প্রত্যাশা টাইগার সমর্থকদের। তাছাড়া, এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারানোর সুখস্মৃতি তো এখনো তরতাজাই, টাইগারদের প্রত্যাশার পারদটা তাই অনেক উঁচুতেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল ঘুরে দেখা যায়, এখানে বিশাল টিভি রুমে খেলা দেখছেন হাজারো সমর্থক। আরাফাত সানির বলে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট পতনের সাথে সাথেই উল্লাসে মেতে উঠেন তারা। বাংলাদেশ-বাংলাদেশ স্লোগানে মুখর পুরো টিভিরুম। বোলিংয়ে এক একটি ডটবলেও হাততালি দিয়ে উঠছেন তারা।
টিভিরুমে খেলা দেখতে আসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নোমান আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স হিসেবে আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি যে, আজকে বাংলাদেশ জিতবে। আশাই নয়, আজকে বাংলাদেশ অবশ্যই জিতবে, এটি আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শুধু আজকেই নয়, পুরো বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে, এটি আমাদের আশা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি হল ঘুরেই দেখা গেছে এমন চিত্র। টিভিরুম গুলো যেন একেকটি স্টেডিয়াম। দর্শকরা এখান থেকেই এমনভাবে টাইগারদের উৎসাহ দিচ্ছেন, যে কারো দেখে মনে হতেই পারে, সেই সুদূর ইডেনের মাঠে টাইগাররা বোধহয় তাদের চিৎকার শুনছেন।
পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে বাংলাদেশ শুভ সূচনা করবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
এমএইচ/এসএইচএস/আরআইপি