ইউরোপে বাড়ছে গৃহহীনের সংখ্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউরোপে গৃহহীনের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। নতুন একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, সেখানে গৃহহীনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গৃহহীনদের নিয়ে কাজ করে ফেডারেশন অব ন্যাশনাল অরগানাইজেশনস। এটি জানিয়েছে, গৃহহীনদের এই সংখ্যা প্রমাণ করে আবাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো, যা মানুষের মৌলিক অধিকার।

আরও পড়ুন>ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন বাড়ছে হু হু করে, এগিয়ে বাংলাদেশিরা

সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রত্যেক রাতে অন্তত ৮ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ গৃহহীন অবস্থায় থাকে, যা মার্সেই বা তুরিনের মতো শহরের জনসংখ্যার সমান।

ফেয়ান্টসার পরিচালক ফ্রিক স্পিনউইজন বলেছেন, ইউরোপের বেশিরভাগ সরকার সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে ও সাধারণ জনগণকে হতাশ করছে। পাশাপাশি অকার্যকরভাবে সমস্যা পরিচালনা করার জন্য সম্পদের অপচয় করছে।

গত বছর সরকারগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্যা সমাধান করার। কিন্তু প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। যদিও এক্ষেত্রে কিছুট উন্নতি করেছে ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক।

এদিকে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় আবেদন বেড়েছে ২৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে শীর্ষ আবেদনকারীদের মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন>সেপ্টেম্বরে তাপমাত্রার রেকর্ড দিল্লিতে

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জোটের ২৭ সদস্য দেশ এবং সহযোগী সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছে মোট ৫ লাখ ১৯ হাজার।

সেই হিসাবে, চলতি বছর শেষে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১০ লাখের বেশি। ২০১৫-১৬ সালের পর এত সংখ্যক আশ্রয় আবেদন আর কখনো দেখেনি ইইউ। সেই সময় যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার বাসিন্দারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নেমেছিল ইউরোপে।

এমএসএম

 

 

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।