দেহে শূকরের হৃদপিণ্ড বসানোর দুই মাস পরেই মারা গেলেন তিনি
বিরল অস্ত্রোপচারে মানবদেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল শূকরের হার্ট অর্থাৎ হৃদপিণ্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হলো না সেই নজিরবিহীন সাফল্যের রেশ। অস্ত্রোপচারের ৪০ দিন পরেই মৃত্যু হলো যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের।
এর আগে ২০২২ সালে একইভাবে ডেভিড বেনেট (৫৭) নামের এক ব্যক্তির শরীরে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তিনি অস্ত্রোপচারের পর ২ মাস বেঁচে ছিলেন। পরে তার হৃদপিণ্ডটিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এবার ব্যর্থ হলো দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারটিও।
আরও পড়ুন: ১৩ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দিলেন ১০৪ বছর বয়সী নারী!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, দ্বিতীয় প্রয়াত ওই ব্যক্তির নাম লরেন্স ফঁসেতে (৫৮)। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিনে লরেন্সের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শূকরের হার্ট।
প্রতিস্থাপনের প্রথম মাসের শেষে দেখা গিয়েছিল, শুকরের ওই হৃদপিণ্ডটি ভালোভাবেই কাজ করছে। কিন্তু সম্প্রতি লরেন্সের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। ৬ সপ্তাহ যেতে না যেতেই হৃদপিণ্ডটি পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দেয় ও তিনি প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার কামড়ে ‘আদরের চিহ্ন’, ট্যাটু এঁকে স্থায়ী বানালেন প্রেমিক
পশুর শরীরের কোনো অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপিত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞনীরা ব্যাপক গবেষণা করলেও, প্রকিয়াটি এখনো সেভাবে সফল হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের মতে, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের তালিকায় রয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার জনেরও বেশি, যার মধ্যে ৩ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের হার্ট প্রতিস্থাপনের দরকার রয়েছে৷ ‘ডোনেট লাইফ আমেরিকা’ নামক একটি গ্রুপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ১৭ জন মানুষ প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ না পেয়ে মারা যায়।
সূত্র: সিএনএন
এসএএইচ