জাপান
ক্রিসমাসে ভাঙাচোরা কেক পেলেন শত শত গ্রাহক
![ক্রিসমাসে ভাঙাচোরা কেক পেলেন শত শত গ্রাহক](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/untitled-1-20231228094650.jpg)
ক্রিসমাসে গ্রাহকদের যে কেক সরবরাহ করা হয়েছিল তার মধ্যে অনেকের কাছেই সঠিক ভাবে তা পৌঁছায়নি। গ্রাহকদের কাছে পৌঁছেছে ভাঙাচোরা কেকের টুকরা। বড়দিনে সরবরাহ করা স্ট্রবেরি ক্রিসমাস কেক সঠিক ভাবে না পৌঁছানোয় ক্ষমা চেয়েছে জাপানের একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্ট স্টোর। খবর বিবিসির।
বড়দিন উপলক্ষে ২ হাজার ৯শ স্ট্রবেরি কেক সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮০৭টি কেক গ্রাহকের কাছে ভাঙাচোরা অবস্থায় পৌঁছায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: একটি কফি কাপের জন্য চাকরি গেলো টিভি উপস্থাপিকার!
তাকাশিমায়া নামের ওই কেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা অনেকের প্রত্যাশা ঠিক ভাবে পূরণ করতে পারেননি এবং তারা এর দায় নিচ্ছেন।
টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজুহিসা ইয়োকোয়ামাকে মাথা নত করে এই ঘটনায় ক্ষমা চাইতে দেখা যায়।
তাকাশিমায়ার পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাইতামা শহরের উইন’স আর্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান কেকগুলো তৈরি ও হিমায়িত করেছিল। অপরদিকে ইয়ামাতো ট্রান্সপোর্ট নামের অন্য একটি প্রতিষ্ঠান কেকগুলো পরিবহন, সরবরাহ ও হস্তান্তর করেছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে এখনও জানা যায়নি যে, কী কারণে কেকগুলো এভাবে ভেঙে গেল।
জাপানের জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ খ্রিষ্টান। কিন্তু দেশটিতে অনেকেই উপহার বিনিময় করে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসবের খাবার ভাগাভাগি করে বড়দিন উদযাপন করেন।
স্ট্রবেরি কেকের মতো লাল এবং সাদা রঙ বড়দিন উদযাপনের প্রতীক হিসাবে গণ্য হয়। এসবের পাশাপাশি বড়দিনের সন্ধ্যায় জাপানিরা কেএফসির ফ্রাইড চিকেনও খেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন>> তুরস্কের পার্লামেন্ট থেকে সরানো হলো কোকা-কোলা ও নেসলের পণ্য
তাকাশিমায়ার কেকগুলো কয়েক স্তরে তৈরি করা হয় এবং এতে টাটকা স্ট্রবেরি দেওয়া হয়। স্ট্রবেরিতে সাজানো কেকগুলো দেখতে বেশ লোভনীয় হয়। এ ধরনের এক একটি কেকের দাম পড়ে ৫ হাজার ৪০০ ইয়েন (৩৮ ডলার)।
টিটিএন