তুহিনের আইনজীবী
এক বছরের বেশি সাজা হলে বিচারিক আদালতে জামিন হয় না

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, ‘এক বছরের বেশি সাজা হলে বিচারিক আদালতে জামিন হয় না। ট্রায়াল কোর্টের (বিচারিক আদালত) এখতিয়ার হলো এক বছরের সাজা পর্যন্ত। আমরা এখন এ দুই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। একই সঙ্গে জামিন আবেদন করবো। আশা করি, ন্যায়বিচার হলে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন খালাস পাবেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। প্রথমে কর ফাঁকি মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর কিছু সময় পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ মামলাতেও তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালত।
এমআইএন/ইএ/এএসএম